পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) দ্বিতীয় খন্ড.djvu/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

も বাঙ্গালার ইতিহাস করিতে পারেন নাই। মগধের দক্ষিণ সীমান্তে পাৰ্ব্বত্যজাতিসমূহ মগধ বিজয়ের বহু শতাব্দী পরেও স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখিয়াছিল। মগধ বিজিত হইলেওঁ মগধের দক্ষিণ তোরণ মুসলমানসেনার হস্তগত হয় নাই। জাপিলীয় মহানায়ক প্রসিদ্ধ ধবলবংশীয় প্রতাপধবল রোহিতাশ্বের অধিপতি ছিলেন’ও, ক্রয়োদশ শতাব্দীর প্রথম পাদের শেষভাগেও রোহিতাশ্ব হিন্দুর অধিকারভুক্ত ছিল। ঝাড়খণ্ডে অসংখ্য দুৰ্দ্ধৰ্ষ পাৰ্ব্বত্যজাতি কখনও মুসলমানের অধীনতা স্বীকার করে নাই। তবে কোন পথে বখতিয়ার গোঁড়মগুলে প্রবেশ করিয়াছিলেন ? মণ্ডলার গিরিপথ, গোঁড়মণ্ডলের পশ্চিম তোরণ, মুষ্টিমেয় সেনা মণ্ডলার গিরিদুর্গ হইতে গেড়িমণ্ডল শক্রসেনামুক্ত রাখিতে পারে। লক্ষ্মণাবতীর সেন রাজা কি মণ্ডলার* ° কথা বিস্মৃত হইয়াছিলেন ? তিরেীরীতে চাহমান ও চন্দোয়ারে গাহডবাল স্বাধিকার রক্ষার জন্য আত্মবিসর্জন দিয়াছিল । অশ্ব পতি-গজপতি - নরপতি - রাজত্রয়াধিপতি বিবিধবিদ্যা বিচারবাচস্পতি-. সেনকুলকমলবিকাশভাস্কর-সোমবংশপ্রদীপপ্রতিপন্নকৰ্ণ-সত্যব্রতগাঙ্গেয় - শরণা গতবজপঞ্জর-পরমেশ্বর-পরমভট্টারক-মহারাজাধিরাজ গৌড়েশ্বর কি তখন যুদ্ধব্যবসায় বিস্মৃত হইয়াছিলেন ? বিনা যুদ্ধে অথবা অল্পায়াসে গোঁড়মণ্ডলের একমাত্র তোরণপথ অধিকৃত হইয়াছিল, মুসলমান সেনা গৌড়মগুলে প্রবেশলাভ করিয়াছিল, লক্ষ্মণ সেনের কুলাঙ্গার পুত্রত্ৰয় বোধ হয় তখন আত্মদ্রোহে লিপ্ত থাকিয়া স্বদেশ, স্বধৰ্ম্ম ও স্বজনের সর্ববনাশের পথ প্রশস্ত করিয়া দিতেছিলেন । নবদ্বীপ লুণ্ঠন করিয়া বখতিয়ার স্বেচ্ছায় অথবা বাধ্য হইয়া প্রত্যাবর্তন করিয়াছিলেন ; তখন নবদ্বীপ বখতিয়ারের অধিকারভুক্ত হয় নাই, কারণ অৰ্দ্ধশতাব্দী পরে বাঙ্গালার স্বাধীন সুলতান মুগীসূ-উদ্দীন য়ুজবেক, নবদ্বীপ বিজয়কাহিনী স্মরণার্থ নূতন মুদ্রা মুদ্রাঙ্কন করিয়াছিলেন । নবদ্বীপ হইতে ফিরিয়া আসিয়া বখতিয়ার লক্ষ্মণাবতীতে রাজধানী স্থাপন করিয়াছিলেন। গঙ্গা-কালিন্দী-পুনর্ভবা সঙ্গমে অবস্থিত প্রাচীন গোঁড়নগরী কি অরক্ষিত ছিল ? (Se) Epigraphia Indica. vol. VI. p. 34. (১৪) মওলা সাহেবগঞ্জের নিকটস্থিত গঢ়িয়া বা তেলিয়াগঢ়ি নামক পাৰ্ব্বত্য পথের নাম । (St) tournal & Proceeding of the Asiatic Society of Bengal, New Series, vol. X, pp. 102-18. (*) Catalogue of Coins, in the Indian Museum, Calcutta, vol. II. pt. II, p. 146, No. 6.