পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) দ্বিতীয় খন্ড.djvu/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S80 w বাঙ্গালার ইতিহাস রাজ্যাভিষেকের এক বা দুই বৎসর পরে পাণ্ডুয়া বা ফিরোজাবাদ তাহার হস্তচু্যত হইয়াছিল, কারণ ৮২২ হইতে ৮২৪ হিজরা (১৪১৯-২১ খৃষ্টাৰী) পৰ্য্যন্ত ফিরোজাবাদে মুদ্রিত জলাল-উদ্দীন মহম্মদ শাহের নামাঙ্কিত মুদ্র আবিষ্কৃত হইয়াছে। পূৰ্ব্ব ও দক্ষিণবঙ্গে শ্ৰীযুক্ত ষ্টেপল্টনের চেষ্টায় মহেন্দ্রদেবের বহু মুদ্র আবিষ্কৃত হষ্টয়াছে, এইগুলি শকাব্দের চতুর্দশ শতাব্দীর চতুর্থ দশকের শেষবর্ষে অথবা পঞ্চম দশকে (শকাব্দ ১৩৪o-৪৫, ১৪১৮-১৭ খৃষ্টাব্দ ) মুদ্রিত হইয়াছিল। এই সকল মুদ্রার আবিষ্কর্তা শ্ৰীযুক্ত ষ্টেপল্টন মুদ্র সমূহের বিস্তৃত বিবরণ প্রকাশ করেন নাই, সুতরাং মহেন্দ্রদেবের রাজ্যকাল ও রাজ্য-বিস্তৃতি সম্বন্ধে কোন কথাই বলিতে পারা যায় না। ইদিলপুরের ঘটকগণের কারিক অনুসারে দনুজমর্দনদেব চন্দ্রদ্বীপ রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা এবং তাহার মৃত্যুর পরে তৎপুত্র রমাবল্লভদেব রায় চন্দ্রদ্বীপের অধিকার লাভ করিয়াছিল ৬৩ ৷ ডাক্তার ওয়াইজও প্রাচ্যবিদ্যামহার্ণব সিদ্ধাস্তবারিধি শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বসু*ক চন্দ্রদ্বীপ রাজবংশের যে পরিচয় সঙ্কলন করিয়াছেন, তাহাতে মহেন্দ্রদেবের নাম পাওয়া যায় না। মহেন্দ্রদেব জলাল-উদ্দীন মহম্মদ শাহের সহিত যুদ্ধে নিহত হইলে অথবা মৃত্যুমুখে পতিত হইলে তাহার কনিষ্ঠ ভ্রাত রমণবল্লভ পিতৃরাজ্য লাভ করিয়াছিলেন। মহেন্দ্রদেবের মৃত্যুর পরে সম্ভবতঃ দমুজমর্দনদেবের বংশের অধিকার চন্দ্রদ্বীপেই সীমাবদ্ধ ছিল। জলাল-উদ্দীন মহম্মদ শাহ ধীরে ধীরে সমগ্র গৌড় ও বঙ্গ আয়ত্ত করিয়াছিলেন। ফিরোজাবাদে মুদ্রিত র্তাহার নামাঙ্কিত ৮২৮ ও ৮৩৪ হিজরার মুদ্র আবিষ্কৃত হইয়াছে। রিয়াজ-উস-সালাতন অনুসারে জলালউদ্দীন মহম্মদ শাহ ৮২২ হিজরায় রাজধানী ফিরোজাবাদে বা পাণ্ডুয়া হইতে গৌড়ে স্থানান্তরিত করিয়াছিলেন “খ । ৮২১ হিজরায় ( ১৪১৮ খৃষ্টাব্দে ) সপ্তগ্রামে মুদ্রিত র্তাহার নামাঙ্কিত রজতমুদ্ৰা আবিষ্কৃত হইয়াছে পূৰ্ব্ববঙ্গে (*) Journal of the Asiatic Society of Bengal, Old Series, Vol. XLII, 1874, pt. I, p. 207. (98*) Ibid, Vol. LXV, 1896, pt. I. (৬৪খ) রিয়াজ-উস-সালাতন, ইংরাজি অনুবাদ, পৃঃ ১১৮। মূলে ৮১২ হিজরা তারিখ আছে, ইহা সম্ভবতঃ ৮২২ হিজরা হইবে, কারণ ৮১২ হিজরায় জলাল-উদ্দীন, সিংহাসন লাভ করেন মাই। (*) Catalogue of Coins in the Indian Museum, Calcutta, Vol. II, :gt. II, p. 162, No. 99.