পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) দ্বিতীয় খন্ড.djvu/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ ১৭১ উদীম্‌ আউলিয়ার সহিত সাক্ষাৎ করিয়াছিলেন এবং ৭২৫ হিজরায় শেখ নিজামূ-উদ্দীনের মৃত্যু হইয়াছিল ৩৩ । সুতরাং ৫১১ হিজরায় সুলতান মহম্মদ বিন্‌-সাম্ কর্তৃক চাহমান বংশীয় দ্বিতীয় পৃথ্বীরাজদেবের পরাজয়ের ত্বই বৎসর পরে শাহ জলালের মৃত্যু সম্ভব নহে। ইবন বতুতা সপ্তগ্রাম হইতে শেখ জলাল-উদ্দীন তন্ত্ৰীজী নামক মুসলমান সাধুর দর্শন মানসে কামরূপের পাৰ্ব্বত্য-প্রদেশে গমন করিয়াছিলেন ৩• । মুসলমানসেন কর্তৃক শ্ৰীহট্রবিজয়ের সময়ে শাহ জলাল জীবিত ছিলেন কি না এবং শ্রীহট্টের শাহ জলাল ও শেখ জলা-উদ্দীন তত্ৰীজী একই ব্যক্তি কি না সে বিষয়ে সন্দেহ আছে। ৮৭০ অথবা ৮৭৮ হিজরায় ইউসফ শাহের রাজ্যকালে একটি মসজিদ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল । মালদহে শাকমোহন মহল্লায় এই মসজিদের শিলালিপি আবিষ্কৃত হইয়াছে ৩৫ ৷ কনিংহামের মতানুসারে এই শিলালিপির তারিখ ৮৭৮ হিজরা ৩৬, কিন্তু মালদহ নিবাসী শেখ ইলাহি বখশ ৩৭ ও ব্লখম্যোনের ৩৮ মতানুসারে ইহার তারিখ ৮৭০ হিজরা । ৮৭০ হিজরায় রুকন-উদ্দীন বারবক শাহ জীবিত ছিলেন, কারণ উক্ত বর্ষে বাখরগঞ্জ জিলায় মির্জাগঞ্জের শিলালিপি উৎকীর্ণ হইয়াছিল, ৮৭১ হিজরায় গৌড়ের শিলালিপি উৎকীর্ণ হইয়াছিল এবং ৮৭৩ ও ৮৭৪ হিজরায় রুকন-উদ্দীন বারবক্ শাহের নামে রজতমুদ্র মুদ্রাঙ্কিত হইয়াছিল, সুতরাং এই শিলালিপি সম্ভবতঃ ৮৭৮ অথবা ৮৭৯ হিজরায় উৎকীর্ণ হইয়াছিল। ৮৮০ হিজরায় (১৪৭৫ খৃষ্টাব্দে ) সুলতান শমস্-উদ্দীন, ইউসফ শাহ কর্তৃক গৌড়ে একটি মসজিদ নির্মিত হইয়াছিল ৩৯ ৷ এই মসজিদের শিলালিপি মাত্র আবিষ্কৃত হইয়াছে, কেহ (e.8) Lee's Ibn Batutah, p, 195. (**) Journal of the Asiatic Society of Bengal, Old Series, Vol. XLIII, 1874, pt. I, 298; Vol. LXIV, 1895, pt, I, p. 199. (*) Cunningham's Archaeological Survey Report, Wol, XV, р. 78. (**) Journal of the Asiatic Society of Bengal, Old Series, Vol. LXIV, 1895, pt. I, p. 199. (*) Ibid, Vol. XLIII, p. 298. (ee) Cunningham's Archæological Survey Report, Vol. XV, pp. 60-61 ; Ravenshaw's Gaur, its Ruins and Inscriptions, p. 30, note.