পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) দ্বিতীয় খন্ড.djvu/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ $$4 হইয়াছিল। এই সংবাদ পাইয়া জৌনপুরের সুলতান, হোসেন শাহ শাকী বিহার হইতে সিকন্দর লোদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করেন। সিকন্দর বারাণসীতে প্রত্যাবর্তন করেন। বারাণসীতে সিকন্দর লোদীর সহিত জৌনপুরের সুলতান হোসেন শাহ শাকীর যে যুদ্ধ হইয়াছিল, তাহাতে পরাজিত হইয়া জৌনপুররাজ বিহারে প্রত্যাবর্তন করিয়াছিলেন । সিকন্দর লোদী তাহার পশ্চাদ্ধাবন করিয়া বিহারে উপস্থিত হইলে হোসেন শাহ শাকী ভাগলপুর জেলায় কহলগাঁওতে পলায়ন করিয়া বাঙ্গালার সুলতান আলা-উদ্দীন হোসেন শাহের আশ্রয়গ্রহণ করিয়াছিলেন। হোসেন শাহ জৌনপুর-রাজের ভরণপোষণের ব্যবস্থা করিয়া দিয়াছিলেন এবং হোসেন শাহ শাকীর অবশিষ্ট জীবন গৌড়রাজের আশ্রয়ে কহলগাঁওতে অতিবাহিত হইয়াছিল। হোসেন শাহ শাকীকে আশ্রয় প্রদানের জন্য ক্রুদ্ধ হইয়া সুলতান সিকন্দর লোদী ১০১ হিজরায় (১৪৯৫ খৃষ্টাব্দে) আলা-উদ্দীন হোসেন শাহের রাজ্য আক্রমণ করিয়াছিলেন । পিতার অাদেশে শাহজাদা দানিয়াল সিকন্দর লোদীর গতিরোধ করিবার জন্য বিহার পর্য্যস্ত অগ্রসর হইয়াছিলেন । উভয় পক্ষের সেনা কিয়দিন পরস্পরের সম্মুখীন ছিল। ইহার পরে সন্ধিস্থাপন করিয়া সিকদর লোদী প্রত্যাবর্তন করিয়াছিলেন ২১ । এতদিন পর্যন্ত মগধ জৌনপুরের শাকাবংশীয় সুলতানগণের অধিকারভুক্ত ছিল, কিন্তু ৯০১ হিজরা হইতে ফরাদ-উদ্দীন শের শাহের অত্যুথান পৰ্যন্ত উক্তপ্রদেশ হোসেন শাহের বংশের অধিকারভুক্ত ছিল। সিকন্দর লোদীর সহিত সন্ধিস্থাপিত হইলে শাহজাদা দানিয়াল কামতাপুররাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করিয়াছিলেন । আহমূ-ভাষায় লিখিত বুরী অনুসারে ১৪৯৮ খৃষ্টাব্দে কামতাপুর বিজিত হইয়াছিল, ইহার পরে ১৫৩২ খৃষ্টাব পৰ্য্যন্ত মুসলমানগণ বহুবার আসামের আহম্ রাজগণের অধিকার আক্রমণ করিয়াছিলেন তই । শাহাব-উদ্দীন তালিশ রচিত ফতিয়াহ-ই-ইব্রিয়াহ বা তারিখ-ফতে-ইআশাম নামক গ্রন্থে হোসেন শাহের আসাম অভিযানের বিবরণ আছে। এই গ্রন্থানুসারে হোসেন শাহ ২৪০০০ সেনা ও বহু নৌকা লইয়া আসামরাজের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করিয়াছিলেন । আসামরাজ তাহাদিগের গতিরোধ মা (৬১) মত খৰ-উৎ-তওয়ারিখ, , ইংরাজি জয়ৰাম, পৃষ্ঠা ১৬-১৭। (*) Gait's History of Assam, pp. 87-92.