পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) দ্বিতীয় খন্ড.djvu/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ Sసిశి আহম্রাজ্য একাধিকবার মুসলমান সেনা কর্তৃক আক্রাপ্ত হইয়াছিল, তাহার বিবরণ যথাস্থানে প্রদত্ত হইবে। ৮কৈলাসচন্দ্র সিংহ প্রণীত “রাজমালা বা ত্রিপুরার ইতিহাস" অনুসারে সুলতান আলা-উদ্দীন হোসেন শাহ ত্রিপুরা অধিকার করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন, কিন্তু ত্রিপুরেশ্বর মহারাজ ধন্যমাণিক্য এবং তাহার সেনাপতি রায় চয়চাগের যত্নে বিফলমনোরথ হইয়াছিলেন" । হোসেন শাহ যে, ত্রিপুরারাজ্য আক্রমণ করিয়া উহার কিয়দংশ অধিকার করিয়াছিলেন, তাহার প্রমাণ একখানি আরবী শিলালিপি হইতে আবিষ্কৃত হইয়াছে । এই শিলালিপিখানি সুবর্ণগ্রামে আবিষ্কৃত হইয়াছিল এবং ইহা অনুসারে ১১৯ হিজরায় (১৫১৩ খৃষ্টাব্দে ) খাওয়াস খাঁ ত্রিপুরার সর্লস্কর ও ইকৃলিম্ মুয়জমাবাদের উজীর ছিলেন।১৮। ৮কৈলাসচন্দ্র সিংহ প্রণীত “রাজমালা” অনুসারে হোসেন শাহ প্রথমবার পরাজিত হইয়া গোঁর মল্লিককে দ্বিতীয় অভিযানের সেনাপতি নিযুক্ত করিয়াছিলেন । কুমিল্লার যুদ্ধে গেীর মল্লিক চয়চাগতকে পরাজিত করিয়া মেহেরকুল দ্বর্গ অধিকার করিয়াছিলেন। মুসলমান সেন রাজধানীর রাঙ্গমাটীয়ার দিকে অগ্রসর হইলে ত্রিপুর সৈন্য সোণামাচীয়ার দুৰ্গে আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিল। চয়চাগ, গোমতীনদীতে বাধ নিৰ্ম্মাণ করিয়া জলস্রোত আবদ্ধ করিয়াছিলেন । “তৎপরে যখন মুসলমান সৈন্য জলশূন্য শুষ্ক গোমতী অতিক্রম করিতেছিল, তখন তাহারা ঐ বাধ ভাঙ্গিয়া দেওয়ায় ; মুসলমানদিগের পক্ষে ত্রিপুরা বিজয় অপেক্ষা প্রাণরক্ষা কঠিন হইয় উঠে। প্রায় অধিকাংশ মুসলমান জলমগ্ন হইয়া প্রাণত্যাগ করিয়াছিল। অবশিষ্ট মুসলমান সৈন্য নিতান্ত নিরুপায় হইয়া পরিশেষে চণ্ডীগড়ে আসিয়া উপস্থিত হইল, কিন্তু তাহাতেও তাহার নিরাপদ হইল না। ত্রিপুরসৈন্যের রাত্রিশেষে মুসলমানদিগের মধ্যে প্রবেশ করতঃ অস্ত্রাঘাতে তাহাদিগকে ছিন্ন ভিন্ন করিয়া দিল। অতি অল্পসংখ্যক মুসলমান প্রাণ লইয়া পলায়ন করিতে সক্ষম হইয়াছিল।” “রাজমালা” অনুসারে হোসেন শাহ ত্রিপুররাজ্যের বিরুদ্ধে তৃতীয় অভিযানে, হাতিয়ান খণকে সেনাপতি নিযুক্ত করিয়াছিলেন । চয়চাগ (৬৭) ত্রিপুরার ইতিহাস, পৃঃ ৪৩ ৷ (*) Journal of the Asiatic Society of Bengal, Old Series, Vol. XLI, 1872, pt. I, pp. 333-34.