পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) দ্বিতীয় খন্ড.djvu/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ &oć: শিলালিপির পার্থে আর একখানি শিলালিপি আছে, তদনুসারে সবৃহদবাসী আলা-উদ্দীনের পুত্র হোসেনাবাদ বুজুর্গ নগরের সাজলে ও মনখাবাদ আর্সার উজীর ও সর্লস্কর এবং হাদীগড় (হাতিয়াগড় ) নগর ও লাউবলা থানার সবৃন্সস্কর, রুকন-উদ্দীন রুকনৰ্থে কর্তৃক একটি মসজিদ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল*। এই শিলালিপিতে বাদশাহের নাম অথবা তারিখ নাই, কিন্তু গৌড়ের নিকট গঙ্গারামপুরে আবিষ্কৃত ১১৮ হিজরার শিলালিপিতে রুকন র্যার উল্লেখ আছে, সুতরাং ত্রিবেণীর শিলালিপি যে হোসেন শাহের রাজ্যকালে উৎকীর্ণ সে বিষয়ে কোন সন্দেহই থাকিতে পারে না। গৌড়ের নিকটে মহদীপুরে আবিষ্কৃত একখানি ভগ্ন-শিলালিপি অনুসারে হোসেন শাহের রাজ্যকালে সরনৌবং মালিক য়াজিদ মুয়জমৃ জফর খা কোন বর্ষের রবি-উল-আখির মাসে একটি মসজিদত নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন ১৬ । আলা-উদ্দীন হোসেন শাহের নামাঙ্কিত কতকগুলি সুবর্ণ ও বহু রজতযুদ্রা আবিষ্কৃত হইয়াছে। সুবর্ণমুদ্রাগুলি “কোষাগার” ” ও “মুয়জমাবাদে" ১৮ মুদ্রিত হইয়াছিল। রজতমুদ্রাসমূহে হোসেনাবাদ - মহম্মদাবাদ ২", মুয়জমাবাদ ২০, ফতেহাবাদ ২২, কোষাগার ২৩ ও ট"ণকশালের ২৪ নাম দেখিতে পাওয়া যায়। হোসেন শাহের রাজ্যকালে বাঙ্গালা ভাষায় বহু গ্রন্থ রচিত হইয়াছিল। ফতেহাবাদ মুলুকের (সরকারের ) অন্তর্গত ফুল্লত্রী গ্রামবাসী বিজয়গুপ্ত ১৪০৬ শকে (১৪৮৪ খৃষ্টাব্দে ) মনসামঙ্গল রচনা করিয়াছিলেন, সে সময়ে অর্জুন নামক একজন হিন্দুফতেহাবাদের জমিদার ছিলেন— (yo) Ibid, pp. 183-84. (>•) Epigraphia Indica, Vol. II, p. 288. (>4) Catalogue of Coins in the Indian Museum, Calcutta, Vol. II, Pt. II, p. 172, No. 167. (*) Ibid, No. 168. (vs) Ibid, pp. 173-76, Nos. 177, 179-80, 182, 188-90, 199-200, (ao) Ibid, pp. 175-76, Nos. 194-97. * (**) Ibid, p. 174, No. 183. (ss) Ibid, p. 173 Nos. I69-70, 175. (Re) Ibid, pp. 173-76 Nos. 176, 181, 186, 198. ' ' (as) Ibid, pp. 173, 175, Nos. 178. 191-93.