२१o বাঙ্গালার ইতিহাস সেনাপতি ইব্রাহিম খা, শের ধার স্কন্ধাবার বেষ্টন করিয়া চারিদিকে তোপ স্থাপন করিলেন এবং নুতন সেনা প্রেরণ করিবার জন্য গৌড়েশ্বরকে অনুরোধ করিয়া পাঠাইলেন। কিয়ংকাল মৃন্ময়-প্রাচীরবেষ্টিত-স্কন্ধাবার হইতে যুদ্ধ করিয়া শের খাঁ দূতমুখে ইব্রাহিম খাকে জ্ঞাপন করিলেন যে, তিনি পরদিন প্রভাতে স্কন্ধাবার হইতে নির্গত হইয়া তাহাকে আক্রমণ করিবেন । রাত্রিশেষে শের খণ সুশিক্ষিত অল্পসংখ্যক সেন স্কন্ধাবারে রাখিয়া অবশিষ্ট সেনার সহিত উচ্চভূমির অন্তরালে অপেক্ষা করিতে লাগিলেন। গৌড়ীয় সেনা আসিলে শের র্থার অশ্বারোহী সেনা একবার শর নিক্ষেপ করিয়া পৃষ্ঠ প্রদর্শন করিল । আফগানগণ পলায়ন করিতেছে ভাবিয়া গৌড়ীয় অশ্বারোহিদল তাহাদিগের পশ্চাদ্ধাবন করিল। তখন শের র্থ লুক্কায়িত সেনাদল গইয়া গৌড়ীয় সেনা আক্রমণ করিলেন । গোঁড়ীয় সেনা রণে ভঙ্গ না দিয়া স্থির হইয়া দাড়াইল ; ঘোরতর যুদ্ধ আরম্ভ হইল এবং ইব্রাহিম খাঁ নিহত হইলেন । সেনাপতি নিহত হইলে গৌড়ীয় সেনা পরাজিত হইল এবং গৌড়েশ্বরের কোষাগার, সমস্ত হস্তী ও তোপ শের খশ কর্তৃক অধিকৃত হইল । ইহার পরে শের খ" গৌড়রাজ্য আক্রমণ করিয়া শিক্রিগলি বা মণ্ডলার গিরিপথের সীমা পর্য্যন্ত গোঁড়রাজ্য অধিকার করিয়াছিলেন। রিয়াজ-উস্সালাতন অনুসারে গৌড়রাজ্যের প্রধানগণ একমাস কাল শিক্রিগলির গিরিপথ রক্ষা করিয়া অবশেষে পরাজিত হইয়াছিলেন এ । ৯৪৩ হিজরায় (১৫৩৬ খৃস্টাব্দে ) শের খ” শিক্রিগলির গিরিপথ অধিকার করিয়াছিলেন । শিক্রিগলি অধিকৃত হইলে শের খশ তাহার পুত্র জলাল খণ, সেনাপতি খাওয়াস খ" এবং অন্যান্য আফগান প্রধানগণকে গৌড়রাজ্য বিজয় করিতে প্রেরণ করিয়াছিলেন । গিয়াস-উদ্দীন মহমুদ শাহ তাহাদিগের গতিরোধ করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন এবং পরাজিত হইয়া প্রাকার ও পরিখাবেটিত গৌড়নগরে আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিলেন । আফগান সেনা গোঁড়নগর অবরোধ করিয়া গোঁড়রাজ্যের অবশিষ্ট অংশ অধিকার করিয়াছিল । গিয়াস (*) Ibid., pp. 338-39. (৩) রিয়াজ-উস-সালাতীন, ইংরাজি অম্বুবাদ, পৃঃ ১০৯। (s) Elliot's History of India, Vol. IV, p. 356. (५) नििक्षांच.-ऎग-गाणांख्रीश्.श्रवांषि चक्री, शृः ॰० ।। (*) Elliot's History of India, Vol. IV, pp. 356-57.