পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) দ্বিতীয় খন্ড.djvu/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ శిd; এই স্থান হইতে শ্রীচৈতন্য নৌকাযোগে উৎকল দেশে প্রয়াগঘাটে উপস্থিত হইয়াছিলেন। সুবর্ণরেখা পার হইয়া জলেশ্বর, বাসধা, রেমুণা জাজপুর হইয়া কটকে সাক্ষীগোপাল দেখিয়া চৈতন্য ভূবনেশ্বর উপস্থিত হইয়াছিলেন ৩৮ ৷ এই বিষয়ে গোবিন্দদাসের কড়চার সহিত বৃন্দাবনদাসের চৈতন্যভাগবতের ঐক্য দেখিতে পাওয়া যায়। জয়ানন্দের চৈতন্যমঙ্গলানুসারে, পুরুষোত্তম নগরের পথে রাজা প্রতাপরুদ্রদেবের সহিত চৈতন্যদেবের সাক্ষাৎ হইয়াছিল, প্রতাপরুদ্র ও র্তাহার পত্নী চন্দ্রকলা চৈতন্যদেবের চরণ বন্দনা করিয়াছিলেন ৩৯ ৷ বৃন্দাবনদাস-বিরচিত চৈতন্যভাগবতানুসারে চৈতন্য যখন প্রথমবার পুরুষোত্তমে গমন করিয়াছিলেন, তখন প্রতাপরুদ্রদেব বিজয়নগরের হিন্দুরাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করিয়াছিলেন। সেইবার কিছুদিন নীলাচলে বাস করিয়া শ্রীচৈতন্য পুনরায় গৌড়দেশে ফিরিয়া আসিয়াছিলেন “ । জয়ানন্দের চৈতন্যমঙ্গলানুসারে শ্রীচৈতন্য প্রতাপরুদ্রদেবের সহিত সাক্ষাতের পরে পুরুষোত্তম পরিত্যাগ করিয়া দক্ষিণাপথ যাত্রা করিয়াছিলেন গোবিন্দদাসের কড়চা অনুসারে তিন মাস কাল পুরুষোত্তমে বাস করিয়া বৈশাখ মাসের সপ্তম দিবসে শ্রীচৈতন্য দক্ষিণাপথ যাত্রা করিয়াছিলেন ২ । শ্রীচৈতন্য, কড়চা রচয়িত গোবিন্দদাস ব্যতীত কাহাকেও সঙ্গে লইয়া যান নাই ! জয়ানন্দের চৈতন্যমঙ্গলানুসারে, চৈতন্য “মহানৈ” ( মহানদী ? ) পার হইয়া কাটাতিপাড়া বামে রাখিয়া জিয়ড় পৰ্ব্বতে প্রবেশ করিয়াছিলেন । এই স্থানে নৃসিংহ দৰ্শন করিয়াস্ত্রীচৈতন্য পুরীগোসাই ও রামানন্দ রায়ের সহিত সাক্ষাৎ করিয়াছিলেন”। গোবিন্দদাসের কড়চা অনুসারে, পুরী ত্যাগ করিয়া শ্রীচৈতন্য গোদাবরীতীরে যাত্রা করিয়াছিলেন এবং তথায় তাহার সহিত রামানন্দ রায়ের সাক্ষাৎ হইয়াছিল জয়ানদের চৈতন্যমঙ্গলানুসারে, গোদাবরী পার হইয়া চৈতন্য পঞ্চবটীতে জনৈক তেলেঙ্গাব্রাহ্মণের গৃহে অতিথি হইয়াছিলেন এবং কাবেরী নদীর জলে স্নান করিয়া ত্রিমন্দনাথে গমন করিয়াছিলেন কড়চ{ (৩৮) চৈতন্যভাগবত, অস্ত্যখণ্ড, দ্বিতীয় অধ্যায়, পৃঃ ৩৮২-৮৭। (৩৯) পরিষদ গ্রন্থাবলী, ৭, পৃঃ ১০৩ ৷ (৪০) চৈতন্যভাগৰত, অস্ত্যখণ্ড, তৃতীয় অধ্যায়, পৃ: ৪১২ r (৪১) পরিষদ, গ্রন্থাবলী, ৭, পৃঃ ১০ও। (৪২) গোবিলদাসের কড়চা, পৃ: ৪৭। (৪৩) পরিষদ, গ্রন্থাবলী, ৭, পৃঃ ১০৩ ৷ (ss) গোবিলদাসের কড়চা, পৃঃ ৪৯ । (se) পরিষদ, গ্রন্থাবলী, ৭, পৃঃ ১০৩ ৷