পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) দ্বিতীয় খন্ড.djvu/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ 46 তখনও স্বাধীন, দূত প্রেরণ করিলে তিনি আদেশ গ্রাহ না করিতে পারেন, ইহা ভাবিয়া বলবেন সসৈন্য সুবর্ণগ্রামে উপস্থিত হইয়াছিলেন । সুবর্ণগ্রামের অধীশ্বর দনুজরায় জলপথে তোগ্রলের পলায়ন নিবারণ করিতে প্রতিশ্রুত হইয়াছিলেন ১৬ । বলবেন এই স্থান হইতে জাজনগর অভিমুখে যাত্রা করিলেন । বাণীর গ্রন্থে লিখিত আছে যে, সম্রাটের সেনা সপ্ততিক্রোশ অতিক্রম করিয়া জাজনগরের নিকটে উপস্থিত হইয়াছিল ১৭ সুবর্ণগ্রাম হইতে জাজনগরের সীমা বহুদূরে অবস্থিত, এইজন্য কোন কোন লেখক অনুমান করেন ষে বলবন সুবর্ণগ্রাম হইতে বর্তমান ত্রিপুরায় গমন করিয়াছিলেন এবং জাজনগর ত্রিপুরার প্রাচীন নাম। সুবর্ণগ্রাম হইতে ত্রিপুরায় যাইতে হইলে বহু নদনদী অতিক্রম করিতে হয় । বাণীর গ্রন্থে এই নদীবহুল জলপথের উল্লেখ নাই । তখনও কীৰ্ত্তিনাশা বিক্রমপুর ধ্বংস করে নাই। বলবন সম্ভবতঃ গঙ্গা বা পদ্মার দক্ষিণ তীর অবলম্বন করিয়া সুবর্ণগ্রামের নিকটে অথবা পরপারে উপস্থিত হইয়াছিলেন এবং সেই স্থানেই সুবর্ণগ্রামের অধীশ্বর দনুজরায়, সম্রাটের সহিত সাক্ষাৎ করিয়াছিলেন। দনুজরায়কে অঙ্গীকারবদ্ধ করিয়া বলবেন পশ্চিমাভিমুখে যাত্রা করিয়া জাজনগরের নিকটে উপস্থিত হইয়াছিলেন । সম্রাটের সেনা কোন স্থান হইতে সপ্ততিক্রোশ চলিয়া জাজনগরের সান্নিধ্যে কোন স্থানে উপস্থিত হইয়াছিলেন, বাণীর গ্রন্থে তাহ স্পষ্ট লিখিত নাই সুতরাং বলবেন যে সুবর্ণগ্রাম হইতে পূৰ্ব্বদিকে যাত্রা করিয়া সপ্তভিক্রোশ দূরে অবস্থিত ত্রিপুরা রাজ্যে গমন করিয়াছিলেন, ইহা কল্পনা করিবার কোনই প্রয়োজন নাই । জাজনগরের সীমায় উপস্থিত হইয়া তোগ্রলের কোন সংবাদ পাওয়া গেল না, কারণ তিনি অন্য পথে যাত্রা করিয়াছিলেন । বলবেন মালিক্‌ বারবকৃ-বেকৃতরসূকে সাত আট সহস্ৰ অশ্বারোহী সেনার সহিত অগ্রে প্রেরণ করিলেন, বেকৃতরসের সেনার চরগণ চতুর্দিকে ধাবিত হইল ১৮। একদিন কোলের অধিপতি মহম্মদ শেরান্দাজ ১১ ও তাহার ভ্রাতা মালিক মকদর শিবির হইতে দশ سیستم (**) Ibid. p. 116. (8%) Ibid, p. 117. (১৮) Ibid, p. 117 ; রিয়াজ-উস-সালাতীন, অনুসারে ইহার নাম মালিক বায়ৰক, বরস, ও ফেরেশতা অনুসারে বারবক, বরলল । (৯৯) রিয়াজ-উস-সালাতন অনুসারে ইহার নাম তীরন্দাজ-রিয়াজ-উসসালাতীন, ইংরাজি অনুবাদ, পৃঃ ৮১। -