পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) দ্বিতীয় খন্ড.djvu/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২ বাঙ্গণলার ইতিহাস পত্র প্রেরণ করিয়াছিলেন, ১৯ কিন্তু বিলাস সাগরে নিমগ্ন কৈকোবাদ পিতার পত্র পাইয়াও চেতনালাভ করেন নাই। নাসিরূ-উদ্দীন মহমুদ, পত্রদ্বারা পুত্রের চৈতন্যসম্পাদন অসম্ভব দেখিয়া লক্ষ্মণাবতী হইতে দিল্লীযাত্রা করিতে প্রস্তুত হইলেন এবং সেই অভিপ্রায় জ্ঞাপন করিবার জন্য পুত্রকে পত্র প্রেরণ করিলেন । বহুদিন পরে কৈকোবাদের মনে পিতৃভক্তি জাগরিত হইল এবং পত্রব্যবহারের পরে স্থির হইল যে, কৈকোবাদ দিল্লী হইতে আউথে গমন করিবেন এবং তাহার পিতা লক্ষ্মণাবতী হইতে সরযতীেরে আসিবেন রিয়াজ-উস-সালাতীন অনুসারে, নাসির-উদ্দীন মহমুদ, বলবনের মৃত্যুর দুই বৎসর পরে ৬৮৭ হিজরায় ( ১২৮৮ খৃষ্টাব্দে ), দিল্লী জয় করিবার জন্য লক্ষ্মণাবতী হইতে যাত্রা করিয়াছিলেন ১৬ । বাণীর গ্রন্থে দিল্লী-জয়ের উদ্দেশ্বের কথা দেখিতে পাওয়া যায় না । জিয়া-উদ্দীন বাণী রচিত তারিখত-ই-ফিরোজ শাহীতে দেখিতে পাওয়া যায় যে, কৈকোবাদ প্রথমে সামান্যভাবে পিতৃদর্শনে যাত্রা করিতে প্রস্তুত হইয়াছিলেন, কিন্তু মালিক নিজামূ-উদ্দীনের কুপরামর্শে ও প্ররোচনায় অবশেষে সম্রাটের উপযুক্ত সমারোহের সহিত বহু সৈন্যসমভিব্যাহারে যাত্রা করিয়াছিলেন এবং সরযতীেরে শিবির স্থাপন করিয়াছিলেন। নাসির-উদ্দীনও সসৈন্য লক্ষ্মণাবতী হইতে আসিয়া সরযুর অপর পারে শিবির স্থাপন করিয়াছিলেন । দুই তিন দিন রাজকৰ্ম্মচারিগণ সংবাদ লইয়া শিবির হইতে গমনাগমন করিবার পরে স্থির হইল যে, নাসিরূ-উদ্দীন মহমুদ বা বগড় খ্ৰী দিল্লীর সম্রাটকে যথোচিত সম্মান প্রদর্শন করিবেন । তিনি নদী পার হইয়া প্রকাশ্ব দরবারে উপস্থিত হইয়া সিংহাসনে আসীন পুত্রের হস্তচুম্বন করিবেন। নাসিরূ-উদ্দীন মহমুদ এইরূপে পুত্রের দর্শন লাভ করিতে স্বীকার করিয়াছিলেন বদাওনী বলেন যে, নাসিরূ-উদ্দীন সসৈন্য দিল্লী আক্রমণ করিতে উদ্যত হইলে কৈকোবাদ তাহার বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করিয়া আউৰে উপস্থিত হইয়াছিলেন। সরযুর উভয় তীরে উভয় পক্ষের সেনা সন্নিবিষ্ট হইলে, গিয়াস-উদ্দীন বলবনের সমসাময়িক আমীরগণের চেষ্টায় সন্ধি স্থাপিত Glos) Ibid, p. 129. (St) Ibid, p. 130. (०°) बिबाज.-$न्-नांनाउँीन. देरबांची जबचान, भूः ४४ ।। (**) Elliot's History of India, Vol. III, p. 131.