পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) দ্বিতীয় খন্ড.djvu/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ نيولا হইয়াছিল’ । ইহার পরে নাসির-উদ্দীন পুত্র দর্শন মানসে কৈকোবাদের দরবারে গমন করিয়াছিলেন। দিল্লীর প্রসিদ্ধ কবি আমীর খসরুর “কিরাণউস-সাদাইন" নামক কাব্যে ও তবকাৎ-ই-আকৃবরীতে দেখিতে পাওয়া যায় যে, নাসির-উদ্দীন মহমুদ বা বগড়া খা দিল্লীজয়ের মানসে লক্ষ্মণাবতী পরিত্যাগ করিয়াছিলেন ১ম । নাসির-উদ্দীন মহমুদ সরযূনদী পার হইয়া পুত্রের শিবিরে প্রবেশ করিলেন এবং দিল্লীর দরবারের নীতি অনুসারে তিনবার মস্তক ভূমিতে স্পর্শ করাইয়া পুত্রের সিংহাসনের দিকে অগ্রসর হইলেন। কৈকোবাদ আর স্থির থাকিতে না পারিয়া সিংহাসন হইতে অবতরণ করিলেন এবং পিতার পদতলে পতিত হইলেন । পিতাপুত্রের মিলন দর্শনে দর্শকগণ অশ্রুরোধ করিতে পারে নাই । কৈকোবাদ নাসিরূ-উদ্দীনকে সিংহাসনে উপবেশন করাইয়াছিলেন, বহু সুবর্ণ ও রজতমুদ্রণ বিতরিত হইয়াছিল, কবিগণ কবিতা ও প্রশস্তি পাঠ করিয়াছিলেন এবং দিল্লীর ও বাঙ্গালার বাদশাহদ্বয়ের মিলনে সরযুতীরস্থিত শিবিরে মহাসমারোহ উপস্থিত হইয়াছিল। ইহার পরে নাসির-উদ্দীন মহমুদ নিজ শিবিরে ফিরিয়া আসিয়াছিলেন । তিনি কয়েক দিবস নদী পার হইয়া পুত্রের শিবিরে গমন করিয়াছিলেন এবং পিতাপুত্রে বহু উপহার বিনিময় করিয়াছিলেন। মালিক নিজামু-উদ্দীন ও মালিক কিওয়ামূ-উদ্দীনের সম্মুখে তিনি সুলতান কৈকোবাদকে বহু সত্বপদেশ প্রদান করিয়াছিলেন এবং পুত্রের নিকট বিদায়গ্রহণ কালে নাসির-উদ্দীন কৈকোবাদকে অনুচ্চৈঃস্বরে যত শীঘ্র সম্ভব নিজামূ-উদ্দীনকে পদচ্যুত করিতে অনুরোধ করিয়াছিলেন । নাসির-উদ্দীন কৈকোবাদের নিকট বিদায়গ্রহণ করিয়া নিজ শিবিরে আসিয়া বন্ধুগণকে বলিয়াছিলেন যে, তাহার পুত্র অথবা দিল্লীর সাম্রাজ্য অধিক দিন স্থায়ী হইবে ন৷ ২ ৷ মালিক নিজামূ-উদ্দীন, পিতাপুত্রের মিলনে কৈকোবাদের চৈতন্য উদয় হইবার ভয়ে, বগড় থাকে অপমান করিতে পরামর্শ দিয়াছিলেন । তাহারই পরামর্শে বাঙ্গালার পুত্রবৎসল স্বাধীন বাদশাহ সামান্য ইক্তাদারের স্বায় কৈকোবাদের দরবারে উপস্থিত হইয়া পুত্রকে অভিবাদন করিতে বাধ্য (2b) মন্তখৰ-উৎ-তওয়ারিখ. थषत्र छांभ, श्रूः ***, रेस्बाथी चङ्गवांग, गूः २२२-२० ।। (şb) હો श्रुः ९२२, शांनशैकी ५ ; उदकां९-३-चांक बद्री. हेरबावि জম্বুবাদ, পৃঃ ১২৩। (**) Blliot's History of India, Vol. III, pp. 131-32.