পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) দ্বিতীয় খন্ড.djvu/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سہ nصا ゲQ বাঙ্গালার ইতিহাস অনুসারে লক্ষ্মণাবতীর শাসনকর্তা কাদৱ খণ ও সপ্তগ্রামের শাসনকর্ডাইজদীন য়াহিয়া খণ প্রথমে সুলতান ফখরু-উদ্দীন খণকে পরাজিত করিয়াছিলেন। পরে অর্থলোভে কাদর খণর সেনাদল তাহাকে পরিত্যাগ করিলে কাদর খণ পরাজিত হইয়াছিলেন । সুলতান ফখরু-উদ্দীনের ক্রীতদাস মুখলিস্ পশ্চিমবঙ্গ আক্রমণ করিয়া কাদন্থ খণর সেনাপতি আলী খণ কর্তৃক পরাজিত ও নিহত হইয়াছিলেন। আলী খণ পরে আলা-উদ্দীন আলী শাহ উপাধি গ্রহণ করিয়া লক্ষ্মণাবতী বা পশ্চিমবঙ্গে স্বাধীনতা অবলম্বন করিয়াছিলেন । জিয়া বাণী রচিত তারিখ-ই-ফিরোজশাহী অনুসারে ফখবৃ-উদ্দীন সপ্তগ্রাম এবং লক্ষ্মণাবতী অধিকার করিয়াছিলেন, এই উক্তি সত্য হইলেও উক্ত অধিকার স্থায়ী হয় নাই । বদাওনীর গ্রন্থ অনুসারে ৭৪১ হিজরায় ( ১৩৪০ খৃষ্টাব্দে ) সুলতান মহম্মদ-বিনতোগলকৃ শাহ দ্বিতীয়বার বাঙ্গালাদেশ ও সুবর্ণগ্রাম আক্রমণ করিয়া ছিলেন ১৮ । এই আক্রমণে বিশেষ কোন ফল হইয়াছিল বলিয়া বোধ হয় না । কারণ ফকরু-উদ্দীন নিৰ্ব্বিবাদে ৭৫৪ হিজরা পর্য্যন্ত সুবর্ণগ্রামের অধিকার ভোগ করিয়াছিলেন। গিয়াস্-উদ্দীন বহদির শাহের মৃত্যুর পরে সুবর্ণগ্রাম সুলতান মহম্মদ-বিন্য-তোগলক শাহের কোন মুদ্রা মুদ্রাঙ্কিত হইয়া থাকিলেও তাহ। অদ্যাবধি আবিষ্কৃত হয় নাই। সুলতান ফখরূ-উদ্দীনের সম্পূর্ণ নাম ফখরু-উদ্দীন আবুল মজঃফর মবারক শাহ। এই নামে সুবর্ণগ্রাম হইতে ৭৩৭, ৭৪১-৫০ হিজরায় মুদ্রাঙ্কিত রজতমুদ্রা আবিষ্কৃত হইয়াছে’ সুলতান ফখরূ-উদ্দীন মবারক শাহের মুদ্রা অবিমিশ্র রজতে নিৰ্ম্মিত এবং ইহার গঠন অতি সুন্দর। ফখৰ্ব-উদ্দীন মবারক শাহের রাজত্বকালে মিশর দেশীয় পৰ্য্যটক ইবনবতুতা সপ্তগ্রামে আসিয়াছিলেন। তখন কাদর খণর সেনাপতি আলী খণ, আলা-উদ্দীন আলী শাহ নাম গ্রহণ করিয়া লক্ষ্মণাবতী বা পশ্চিমবঙ্গের অধিপতি হইয়াছিল । ফখরূ-উদ্দীন মবারক শাহ ও আলা-উদ্দীন আলী শাহ দীর্ঘকাল যুদ্ধে ব্যাপৃত ছিলেন। বর্ষাকালে ফখরূ-উদ্দীন প্রবল হইয়া উঠতেন কারণ, পূর্ববঙ্গে আধিপত্য থাকায় তাহার নেবল ও নৌ-সেনা পরাক্রান্ত ও সুশিক্ষিত ছিল, কিন্তু শীতকালে ও গ্রীষ্মকালে আলা-উদ্দীন আলী শাহ প্রবল 檔 মস্ত খব-উৎ-তওয়ারিখ, ইংরাজি অনুবাদ, প্রথম ভাগ, পৃঃ ৩০৯ । SR) B. Thomas, Initial Coinage of Bengal, part II, p. 57. H. N. Wright's Catalogue of Coins, Indian Museum, Calcutta, Vol. II, part II, p. 149, Nos. 17—20.