পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) দ্বিতীয় খন্ড.djvu/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ bた。 হইয়া উঠিতেন কারণ, নদীর জল শুষ্ক হইলে ফখৰ্ব-উদ্দীনের নৌ-সেনা পশ্চিমবঙ্গের অশ্বারোহী পদাতিকগণের সহিত যুদ্ধে পরাস্ত হইত। এইরূপে পূৰ্ব্ববঙ্গে ও দক্ষিণবঙ্গে ফখরূ-উদ্দীন এবং পশ্চিমবঙ্গে আলা-উদ্দীন আলী শাহ দীর্ঘকাল স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। ইবন-বতুতা লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন যে, সুলতান গিয়াস উদ্দীন বলবনের বংশের শেষরাজ নিহত হইলে র্তাহার জামাত লক্ষ্মণাবতীর অধিকার লাভ করিয়াছিলেন । তিনি স্বীয় সৈন্যগণ কর্তৃক নিহত হইলে আলা-উদ্দীন আলী শাহ লক্ষ্মণাবতীর অধিপতি হইয়াছিলেন। ফখর উদ্দীন বলবনবংশীয় রাজগণের ভূত্য ছিলেন, তাহাদিগের অধিকার লোপ হইলে তিনি পূৰ্ব্ব ও দক্ষিণ-বঙ্গের অধিকার লাভ করিয়াছিলেন । ফখৰ্ব-উদ্দীন মবারক শাহ ফকীর ও সাধুদিগকে ভক্তি করিতেন এবং র্তাহাদিগকে বহু অর্থ দান করিয়াছিলেন। ১৩৫০ খৃষ্টাব্দে ইবন বতুতা সপ্তগ্রামে আসিয়াছিলেন । লি ( Lee ) , ও সাঙ্গুইনেতিং (Sanguinetti) প্রভৃতি ইবন বতুতা ভ্রমণবৃত্তাম্বের অনুবাদকগণ “সোদকাওয়ান"শব্দ চট্টগ্রামের নামান্তর মনে করিয়াছেন, কিন্তু তাহারা লক্ষ্য করিয়া দেখেন নাই যে, এই নগর গঙ্গা ও যমুনার সম্মেলনস্থলে অবস্থিত ছিল এবং ইহা সাতগাও বা সপ্তগ্রাম ব্যতীত অন্য কোনও স্থান হইতে পারে না । আরবী ভাষায় চট্টগ্রাম লিখিতে হইলে উহ। “জৎকানো” লিখিতে হইবে । ইবন বতুতা বাঙ্গালাদেশের খৃষ্টীয় চতুর্দশ শতাব্দীর দ্রব্য-মূল্য লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন । ভারতবর্ষের এক রৎল, পশ্চিমের অর্থাৎ মিশর দেশের বিশ রংলের সমান। তখন একটি রজতমুদ্রায় (নাম দীনার ) পঁচিশ রৎল চাউল পাওয়া যাইত এবং অশীতি রতল ধান্য পাওয়া যাইত। দুই দিবৃহমে (সিকি দীনারে ) এক রংল তিলের তৈল মিলিত এবং চারি দিরহমে বা অৰ্দ্ধ দীনারে। এক রৎল গব্যস্থত (অথবা নবনীত ) মিলিত । একটি দুগ্ধবতী গাভীর মূল্য ছিল তিন দীনার এবং এক দিবৃহমে আটটি হৃষ্টপুষ্ট কুকুট পাওয়া যাইত। এক দিবৃহমে পনেরটি পুষ্ট পারাবত পাওয়া যাইত, একটি বৃহদাকার মেষের মূল্য দুই দিবৃহম । আট দিবৃহমে এক রৎল সিরাপ (Syrup, গুড় ? ) পাওয়া যাইত। চারি দিবৃহমে এক রৎল চিনি পাওয়া যাইত এবং ত্বই দীনারে ত্রিশ (Ro) Sanguinetti's Ibn Batuta, Tome quatrieme, pp. 212-216. (RS) Lee’s Ibn Batuta : (os) Sanguinetti's Ibn Batuta, Tome quatrieme, p. 212. ৬—দ্বিতীয় ভাগ