পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) প্রথম খন্ড.djvu/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*6 বাঙ্গালার ইতিহাস মালবরাজ দেবগুপ্তের নাম ইতিপূর্বেই উল্লিখিত হইয়াছে। এক বংশসভূত বলিয়াই, বোধ হয়, শশাঙ্ক দেবগুপ্তের সাহায্যাৰ্থ বঙ্গ হইতে স্বদুর কাকুজে যুদ্ধ যাত্রা করিয়াছিলেন। প্রভাকরবর্ধন মালবরাজকে যুদ্ধে পরাজিত করিয়াও মালবদেশ অধিকার করেন নাই, কিন্তু মালবরাজ পুত্রায়কে স্বাধীশ্বরে লইয়া গিয়াছিলেন। তাহার মৃত্যুর পরে, উপযুক্ত অবসর বিবেচনা করিয়া, দক্ষিণে দেবগুপ্ত ও পূৰ্ব্বে শশাঙ্ক প্রাচীন গুপ্তরাজবংশের অতীত গৌরব উদ্ধার করিতে কৃতসঙ্কল্প হইয়াছিলেন। এতদ্ব্যতীত গৌড়েশ্বর শশাঙ্ক নরেন্দ্রগুপ্তের, স্বাক্টশ্বর রাজের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রার অপর কোন কারণ দেখিতে পাওয়া যায় না। শশাঙ্ক সসৈন্ত দেবগুপ্তের সহিত মিলিত হইবার পূর্বেই মালবরাজ বোধ হয়, রাজ্যবর্ধনের সহিত যুদ্ধ করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন এবং তৎকর্তৃক পরাজিত হইয়া পলায়ন করিয়াছিলেন, অথবা নিহত হইয়াছিলেন । ইতিমধ্যে দেবগুপ্ত কাম্বকুজ অধিকার করিয়াছিলেন এবং রাজ্যবৰ্দ্ধনের ভগিনীপতি গ্রহবর্শাকে পরাজিত ও নিহত করিয়া রাজ্যক্রকে কারারুদ্ধ করিয়াছিলেন । রাজ্যত্রকে কারারুদ্ধ করিবার বিশেষ কোন কারণ দেখা যায় না ; কিন্তু বিনা কারণে একজন গুপ্তবংশীয় নরপতি রমণীর প্রতি অত্যাচার করিয়াছিলেন, ইহা বিশ্বাস করিতেও প্রবৃত্তি হয় না। শ্ৰীযুক্ত রমাপ্রসাদ চন্দ্র অনুমান করেন যে শশাঙ্কের আদেশানুসারে রাজ্যত্র কারামুক্ত হইয়াছিলেন " " । দেবগুপ্তের পরাজয়ের পরে রাজ্যবর্ষনের সহিত শশাঙ্কের সাক্ষাৎ হইয়াছিল। হর্ষবৰ্দ্ধনের তাম্রশাসনম্বয়ে দেখিতে পাওয়া যায় যে, রাজ্যবৰ্দ্ধন সত্যাকুরোধে অরাতি-ভবনে গমন করিয়া প্রাণত্যাগ করিয়াছিলেন । হর্ষচরিতে দেখিতে পাওয়া যায় যে, গৌড়ধিপ তাহাকে নিরস্ত্র অবস্থায় হত্যা করিয়াছিলেন । বাণভট্ট স্বান্ধীশ্বরের রাজবংশের অনুগ্রহ প্রার্থী ছিলেন এবং ইউয়ান্‌-চোয়াঙ হর্ষবর্ধনের নিকট হইতে নানাবিধ (৪৬) হর্ষচরিত, যষ্ঠ উৰ্দ্ধাস, পৃঃ ১৫৭ ৷ (৪৭) গোঁড়রাজমালা, পৃ: ১• । (৪৮) রাজানো যুধি দুষ্টৰাজিন ইব শ্রীদেবগুপ্তাদয় । কত যেন কশাপ্রহারবিমুখা: সর্বে সমং সংবতা ৷ উৎখায় ৰিষতে বিজিত্য ৰক্ষুধাং কৃত্বা প্রজানাং প্রিয়ং ! প্রাণাইজ, ঝিতবানরাতিভবনে সত্যাকুরোধেন ধ ৷ Ipigraphia Iudica, vol. I, p. 62; vol vi; p. 210.