পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) প্রথম খন্ড.djvu/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম পরিচ্ছেদ ఫేS অদৃপ্ত হইয়াছে। মন্দার পর্বতে আদিত্যসেনের পত্নী পরমভট্টারিক রাজী মহাদেবী কোণদেবী হুইটি পুষ্করিণী খনন করাইয়াছিলেন ", এতদ্ব্যতীত ঝাড়খণ্ডে (দেওঘর) বৈদ্যনাথদেবের মূল মন্দিরের প্রাচীরে সংলগ্ন দ্বাদশ শতাব্দীর একখানি খোদিত লিপিতে আদিত্যসেন ও তৎপত্নী কোষদেবীর (কোণদেবীর ) নাম আছে আদিত্যসেনের মৃত্যুর পরে তাহার পুত্র দেবগুপ্ত মগধের সিংহাসনে আরোহণ করিয়াছিলেন। দেবগুপ্ত ব্যতীত আদিত্যসেনের আর এক কন্যা ছিলেন, তাহার সহিত মৌখরিবংশীয় নরপতি ভোগবর্ধার বিবাহ হইয়াছিল দেবগুপ্তের পত্নীর নাম কমলাদেবী এবং তাহার পুত্রের নাম বিষ্ণু গুপ্ত, বিষ্ণুগুপ্তের পত্নীর নাম ইচ্ছাদেবী এবং তাহার পুত্রের নাম জীবিতগুপ্ত। এই দ্বিতীয় জীবিতগুপ্তের রাজাকালে বরুণিকা ( বর্তমান নাম দেওবনারক ) গ্রাম বরুণবাসী মন্দিরদেবতার পূজার নিমিত্ত প্রদত্ত হইয়াছিল। এই গ্রাম পূর্বে বালাদিত্যের অর্থাৎ সম্রাট নরসিংহগুপ্ত কর্তৃক প্রদত্ত হইয়াছিল, তংপরে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ইহা শর্ববর্ম ও অবন্তীবর্মী কর্তৃক বরুণবাসী দেবতার পূজার্থ প্রদত্ত হইয়াছিল শর্ববর্ম ও অবস্তীবর্মী উভয়েই মৌখরী বংশজাত । শর্ববর্মী মৌখরিরাজ ঈশানবৰ্মার পুত্র ৩ এবং দামোদর গুপ্তের সমসাময়িক ব্যক্তি। দ্বিতীয় জীবিতগুপ্তের পরবর্তী গুপ্তবংশজাত অন্য কোন নরপতির নাম অদ্যাবধি আবিষ্কৃত হয় নাই। কোন সময়ে দ্বিতীয় জীবিতগুপ্তের মৃত্যু হইয়াছিল তাহ বলিতে পারা যায় না ; অনুমান হয় খৃষ্টিয় সপ্তম শতাব্দীর শেষপাদে অথবা অষ্টম শতাব্দীর প্রথমপাদে মগধের গুপ্তরাজ বংশের অধিকার লোপ হইয়াছিল । বাঙ্গালাদেশের নানাস্থানে স্কন্দগুপ্তের মুদ্রার অফুরূপ স্ববর্ণমুদ্র আবিষ্কৃত হইয়াছে। যশোহর জেলায় মহম্মদপুর গ্রামে এই জাতীয় একটি মুদ্র আবিষ্কৃত হইয়াছিল । চাকার নিকটে আর একটি মুদ্র আবিষ্কৃত (aa) Ibid, P. 212. (re) ibid, P. 213. (»») Indiam Antiquary, Vol IX, P. 178. (ws) Fleet's Corpus Inscriptionum Indicarum, vol. III. pp. 225-26. r - - .220 Ibid; p (های) (es) Journal of the Asiatic Society of Bengal; 1852. p.401. pl. xii. 10. - א