ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ >a電 চন্দ্র শেঠ যে মুদ্রার চিত্র প্রকাশ করিয়াছিলেন, তাহা এখন কোথায় আছে, বলিতে পারা যায় না। মূল মুত্রা পরীক্ষা না করিয়া পাঠোদ্ধার সম্বন্ধে কোন মত প্রকাশ করা উচিত নহে। বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদে দনুজমর্দনহেবের যে মুদ্রা আছে, তাহাতে স্পষ্ট শকাবা ১৩৩৯ লিখিত আছে। ষ্টেপলটন মহেন্দ্রদেবের যে সমস্ত মুদ্র সংগ্ৰহ করিয়াছেন, তাহার তারিখের পাঠোদ্ধার সম্বন্ধে তিনি এবং আমি একমত হইয়াছি। এই সকল মুদ্র ষে ১৪১৮ হইতে ১৪২৭ খৃষ্টাব মধ্যে মুদ্রাংকিত হইয়াছিল, সে বিষয়ে কোনই সন্দেহ নাই। এই সকল নবাবিষ্কৃত প্রাচীন মুদ্রার প্রমাণ হইতে স্পষ্ট প্রমাণ হইতেছে যে, মহেন্দ্রদেব দনুজমর্দনের পরবর্তী নহেন ; সুতরাং মহেন্দ্রদেবের সহিত যদি দনুজমর্দনদেবের কোন সম্বন্ধ থাকে, তাহা হইলেও তিনি দনুজমর্দনদেবের পিতা হইতে পারেন না। বটুভটের “দেববংশে” মহেন্দ্রদেব দনুজমর্দনের পিত! বলিয়া পরিচিত, কিন্তু বিজ্ঞান-সন্মত ঐতিহাসিক প্রমাণের বলে মহেন্দ্রদেব, দনুজমর্দনের পুত্র অথবা উত্তরাধিকারী বা স্থলাভিষিক্ত হইতে পারেন। সুতরাং বটুভট্টের “দেববংশের ঐতিহাসিক অংশগুলি বিজ্ঞানসন্থত প্রণালীতে রচিত ইতিহাসে গৃহীত হইতে পারে না। (২) ভোজবশ্বদেবের তাম্রশাসন :-এই তাম্রশাসনখানি ১৯১২ খৃষ্টাব্দে চাকা জেলায় বেলাবো গ্রামে আবষ্কৃত হইয়াছিল । নলিনীকান্ত ভট্টশালী, ঐযুক্ত রাধাগোবিন্দ বসাক ও আমি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে এই তাম্রশাসনখানির পাঠ উদ্ধার করিয়াছি। উদ্ধত পাঠে দুই একটি নাম ব্যতীত বিশেষ কোন মতভেদ নাই । ভোজবৰ্দ্দার পিতার নাম শুমলবৰ্ম্ম । বঙ্গদেশীয় পাশ্চাত্য বৈদিকগণের মুখে শুনিতে পাওয়া যায় যে, তাহার রাজা খামলবর্ধার রাজত্বকালে শাকুণ সত্ৰ নামক যজ্ঞ সম্পন্ন করিতে কর্ণাবতী নগর হইতে বঙ্গদেশে আসিয়াছিলেন । ভোজবর্ধার তাম্রশাসন আবিষ্কৃত হইবার বহু পূৰ্ব্বে, নগেন্দ্রনাথ বস্থ “বজের জাতীয় ইতিহাস" দ্বিতীয় ভাগে পাশ্চাত্য বৈদিকগণের কুলশান্ত্র হইতে খামলবর্ধার নিম্নলিখিত্ব পরিচয় সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন – - - (ক) চন্দ্রবংশে ত্ৰিবিক্রম নামে এক নরপতি জন্মগ্রহণ করেন। • • • ইনি বিজয়সেন নামক এক পুত্র উৎপাদন করেন । * * অনন্তর রাজা বিজয়সেন তাহার মালতী নামী গুণবতী মহিষীর গর্ডে মন্ত্র ও খামল নামক দুইটি পুত্ৰ উৎপাদন করেন। • • ইমান খামলবৰ্গ অগ্রজ মন্ত্রবর্ধকে পিতৃসিংহাসনে স্বস্থিত্তি দেখিয়া স্বয়ং দ্বিগ্বিজয় করিতে মনোযোগী হইলেন। * * * দেশবিদেশ
