পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) প্রথম খন্ড.djvu/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যুগবিভাগ—মানবের অস্তিত্বের সর্বপ্রাচীন নিদর্শন—জাদিম-মানৰ নিরামিষাশি—মুখবিপ্লব-জামি মানবের স্বভাৰ পরিবর্তন-মানবের প্রথম অস্ত্রপ্রস্তরের যুগ-প্রত্ন-প্রস্তম্বেশ্ব যুগ-বাঙ্গালাদেশে আবিষ্কৃত নিদর্শন—বঙ্গৰালী ও মাম্রাজবালী আদিম মানব-নব্য-প্রস্তর যুগ—বাঙ্গালাদেশে আবিষ্কৃত নিদর্শন—ধাতু আবিষ্কার—তাম্রের যুগ-বাঙ্গালাদেশের তাম্র-নির্মিত জয় । জগতে, সর্বপ্রথমে, কোন যুগে কতকাল পূর্বে, মানবের স্বষ্টি হইয়াছিল, তাহা এখনও অজ্ঞাত রহিয়াছে। প্রাণিতত্ত্ববিদগণ স্থির করিয়াছেন যে, বর্তমান সময়ের সকল জীবের পরে মানবের জাবির্ভাব হইয়াছিল। ভূতত্ত্ববিদগণ বলিয়া থাকেন যে, নব্যঞ্জীবক যুগের শেষভাগে মানবের অস্তিত্বের চিহ্ন লক্ষিত হয়’ । অভ্যাধুনিক উপযুগ হইতে ভূপৃষ্ঠে মানবের অস্তিত্বের নিদর্শন পাওয়া যায়, কিন্তু ইহার পূর্ববর্তী দুইটি উপযুগে মানবের অস্তিত্ব সম্বন্ধে ভূতত্ত্ববিদগণের মধ্যে মতভেদ আছে । কেহ কেহ বলেন যে, মধ্যাধুনিক ও বহাধুনিক উপযুগে মানবের অস্তিত্বের নিদর্শন পাওয়া যায় ; কিন্তু কেহ কেহ এই সকল নিদর্শনের সহিত মানবের সম্পর্ক স্বীকার করেন না । কেহ কেহ বলেন যে, বহাধুনিক উপযুগে মানবের অস্তিত্বের নিদর্শন আবিষ্কৃত হুইবে । ইহা আশা করা যাইতে পারে, কিন্তু মধ্যাধুনিক যুগে মানবের অস্তিত্ব প্রমাণ করিবার কোন আশাই নাই। মাত্রাঙ্গ প্রদেশে কুর্ণল নামক স্থানে একটি পর্বতগুহায় জীবাশ্বের (Rossil) সহিত আদিম মানবের অস্তিত্বের নিদর্শন আবিষ্কৃত হইয়াছে। ভূতত্ত্ববিদগণ জছুমান , (১) ভূতত্ত্ববিদগণ পৃথিবীর বয়সকে প্রথমতঃ প্রত্নজীবক, মধ্যজীৰক ও নব্যঞ্জীৰক এই তিন যুগে বিভক্ত করিয়াছেন। প্রত্যেক যুগ তিন বা ততোধিক উপযুগে বিভক্ত হইয়াছে – - , * * (*) That man existed in Western Europe during the period of the mammoth and the Bhinoceros, tichorhinus, no longer, I think admits of a doubt, but when we came to pliocene and, still more to Miocene times, the evidence is less conclusive - Prehistorio rimas, r.199. . . . . . . ...