পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) প্রথম খন্ড.djvu/২৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ቕጫቈ বাক্ষালার ইতিহাস জয় করিতে দুইটি স্বতন্ত্র অভিযানের আবগুক হুইয়াছিল। পৃথ্বীরাজের মৃত্যুর পরে তাহার ভ্রাত হেমরাজ আমরণ রাজধানী রক্ষা করিয়াছিলেন৮, এ কথা মুসলমান ঐতিহাসিকগণও স্বীকার করিয়াছেন । বিজেতৃগণ আজমীর অধিকার করিয়া পৃথ্বীরাজের দালী-পুত্রকে সিংহাসন প্রদান করিয়াছিলেন। মুলতান মহম্মদের প্রতিনিধি কুতব-উদ্দীনকে পুনরায় আজমীর জয় করিতে হইয়াছিল। দিল্পী ও আজমীর হস্তগত করিয়া সুলতান মহম্মদ বিস্তৃত সমৃদ্ধ গাছড়বাল-রাজ্য আক্রমণ করিয়াছিলেন। কথিত আছে যে, কান্তকুজ-রাজ জয়চ্চন্দ্র সংযুক্ত-হরণের জন্ত চাহমান-রাজের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হইয়াছিলেন এবং তিনি মুসলমান-রাজের সহিত সন্ধিবন্ধনে আবদ্ধ হইয়া একই সময়ে পৃথ্বীরাজের রাজ্য আক্রমণ করিয়াছিলেন। ইহার পুরষ্কারস্বরূপ গোর-রাজ মহম্মদ-বিন সাম্ পরবৎসর গাহডবাল-রাজ্য জাক্রমণ করিয়াছিলেন। তাজ-উল-মাসির, তবকাত-ই-নালীরী এবং কামিল-উং-তবারিখ, নামক ইতিহাসত্রয়ে গোর-রাজ কর্তৃক কান্তকুজ-রাজ্য বিজয়ের বিবরণ লিপিবদ্ধ আছে । ইহার মধ্যে সদর উদ্দীন মহম্মদ-বিন-হসন নিজামীর তাজ-উল-মাসির গ্রন্থ কান্তকুজ-রাজ্য জয়ের একাদশ বর্ষ পরে আরম্ভ হইয়া ১২২৮ খৃষ্টাব্যে শেষ হইয়াছিল। তাজ-উল-মাসিরের বিবরণ এই গ্রন্থজয়ের মধ্যে সর্বাপেক্ষ বিশদন । “কিয়ৎকাল দিল্লীতে অবস্থান করিয়া কুতব-উদ্দীন ৫৯০ হিজিরাব্দে ( ১১৯৪ খৃস্টাৰে ) পবিত্র সলিলা জুন (যমুনা ) নদী পার হইয়া কোল ও বারাণসীর দিকে অগ্রসর হইয়াছিলেন। তিনি ভারতের দুর্গসমূহের মধ্যে বিখ্যাত কোল দুর্গ অধিকার করিয়াছিলেন। দুর্গ-রক্ষীদিগের মধ্যে যাহারা বুদ্ধিমান ছিল, তাহারা ইসলাম-ধর্মে দীক্ষিত হইয়াছিল, কিন্তু যাহারা পুর্বধর্মাহুরাগ ত্যাগ করিতে পারিল না, তাহারা নিহত হুইল । সেইস্থানে গজনী হইতে স্কুলতান মহম্মদ গোরীয় আগমন-সংবাদ পাওয়া গেল। কুতব-উদ্দীন স্বলতানের সহিত মিলিত হুইবার জন্ত অগ্রসর হইলেন। উভয়ের সেনা একত্র হইলে দেখা গেল যে, পঞ্চাশংসহস্ৰ বৰ্মাবৃত অশ্বারোহী সেনা একত্রিত হইয়াছে। এই সৈন্ত লইয়া র্তাহাৱা কাশী রাজের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করিলেন। মহম্মদ-বিন্‌সাম, কুতবউদীনকে সহস্ৰ অশ্বারোহী লইয়া অগ্রসর হইতে আদেশ করিলেন । এই সৈন্ত শত্রুসেনা আক্রমণ করিয়া তাহাদিগকে পরাজিত করিল । কালী-রাষ্ট্র (*) Elliot's History of India, vol. II, p. 225.