পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) প্রথম খন্ড.djvu/৩০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বাদশ পরিচ্ছেদ ३४ १ প্রদত্ত হইয়াছিল৪৮ । কেশবসেন ও বিশ্বরূপসেনের তাম্রশাসনম্বর হইতে অৰগত হওয়া যায় যে, তাহারা উভয়ে মুসলমানগণের ( গৰ্গৰ্ষবন ) সহিত যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হইয়াছিলেন8৯ । কান্তৰুজ রাজ্যের অধঃপতনের পরে দলবদ্ধ মুসলমান-সেনা যখন মগধ, অঙ্গ ও গোঁড়ে লুণ্ঠন করিয়া বেড়াইত, তখন তাহাদিগেরই একদল বোধ হয় সেনবংশীয় গোঁড়-রাজ কর্তৃক পরাজিত হইয়াছিল। মগধ-জয়ের পরে মহম্মদ-ই-বখতিয়ারের যশ, বঙ্গ ও কামরূপ পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত হইয়াছিলs • । তিনি দিল্লীর স্থলতান কুন্তব-উদ্দীন কর্তৃক সন্মানিত হইয়াছিলেনঃ ১ । দিল্লী হইতে প্রত্যাবর্তন করিয়া মহম্মদ-ই-বখতিয়ার সেনা সংগ্ৰহ করিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন এবং গৌড়-রাজ্য আক্রমণ করিয়াছিলেন। তিনি অষ্টাদশ অশ্বারোহী সমভিব্যাহারে নোদিয়া নগরে উপস্থিত হইয়াছিলেন । নগরবাসিগণ প্রথম র্তাহাকে অশ্ববিক্রেতা বণিক্‌ মনে করিয়াছিল। তিনি প্রাসাদে উপস্থিত হইয়া অবিশ্বাসীদিগকে আক্রমণ করিয়াছিলেন। এই সময়ে রায় লখমনিয়া আহাঁর করিতেছিলেন তিনি মুসলমানগণের আগমন শ্রবণ করিয়াপুরমহিলাগণ, ধনরত্ন-সম্পদ, দাস-দাসী পরিত্যাগ করিয়া অন্তঃপুরের দ্বার দিয়া বঙ্গে পলায়ন করিয়াছিলেন” । ইহাই ইতিহাসবেত্তা মিনহাজ-উস্ সিরাজের বিবরণe২ । মিনহাজ গোঁড়-বিজয়ের চত্বাৱিংশ বর্ষ পরে নিজামউদ্দীন এবং সমৃসাম-উদ্দীন নামক ভ্রাতৃদ্বয়ের নিকটে বখতিয়ারের বিজয় কাহিনী শ্রবণ করিয়াছিলেন । মিনহাজ ৬৪১ হিজিরান্ধে (১১৪৩-৪৪ খৃষ্টাৰে ) লক্ষ্মণাবতী নগরে, অর্থাৎ গোঁড়ে সম্লাম-উদ্দীনে সাক্ষাৎ পাইয়াছিলেন৫৩ । - মহম্মদ-ই-বখতিয়ার কর্তৃক গৌড়ে ও রাঢ়ে সেন-রাজগণের অধিকার লুপ্ত হইয়াছিল, ইহা নিশ্চয়, কিন্তু যে ভাবে বিজয়-কাহিনী বর্ণিত হইয়াছে, তাহ পাঠ করিয়া বিশ্বাস করিতে ইচ্ছা হয় না। প্রথম কথা, নোদিয়া কোথায় ? নোদিয়া যদি নবদ্বীপ হয়, তাহা হইলে বোধ হয় যে, মহম্মদ-ই-বখতিয়ার লুণ্ঠলোদেশে আসিয়া সেন রাজ্যের জনৈক সামন্তকে পরাজিত করিয়াছিলেন ; কারণ নবদ্বীপ যে সেন-বংশের রাজধানী ছিল, ইহার কোনও প্রমাণই (8w) Journal and Proceedings of the Asiatic Society of Bengal, New Series, vol. X, p. 99-104. (82) শশাস পৃথিবীমিমাং প্রথিবীরগগাগ্রণী:। সগগযবনাশ্বয়প্রলয়কালরুদ্রো নৃপঃ ॥ —Ibid, p. 102 (e.) Tabaqat-i-Nasiri, (Trans, by Raverty) p. 554. (ts) Ibid. p. 552. (ta) Ibid, pp. 55-8. (to) Ibid, p. 552.