# छुजैौग्न नटिक्कङ्ग 敬教 লৌহিত্যের অপরপারে গিরিসঙ্গুল আটবিক প্রদেশের অধিবাসীগণকে, রাজাধিরাজ মহারাজ স্বতন্ত্র স্বাধীন রাজ্যবালী বলিয়া স্বীকার করিতে বোধহয় কুষ্ঠিত হইতেন । ধর্মপ্রচারের উত্তেজনায় যখন বিস্তৃত মৌর্ধ্যসাম্রাজ্যের রাষ্ট্রীয়বন্ধন শিথিল হইয় পড়িল, তখন হইতে স্থদুর প্রত্যন্তস্থিত প্রদেশগুলি স্বাধীন হইবার স্বযোগের প্রতীক্ষা করিতেছিল । দেবতাদিগের প্রিয় প্রিয়দর্শী অশোকের দেহাবসানের অধ্যবহিত পরে পশ্চিমে গান্ধার ও কপিশা ও দক্ষিণে অন্ধ্র ও কলিঙ্গ দেশ স্বাতন্ত্রা অবলম্বন করিয়াছিল। মৌর্যরাজবংশের অধিকারকালে ভারতবর্ষে রাজনামাঙ্কিত স্ববর্ণ বা রজত মুদ্রার প্রচলন ছিল না ; তৎকালে পুরাণ নামক চতুকোৎ রজতথওই মূদ্রারূপে ব্যবহৃত হইত। শ্ৰেষ্ঠ ও স্বাখবাহগণ এই জাতীয় মুদ্রণ প্রস্তুত করিত । মগধ ও বঙ্গের নানাস্থানে শত শত "পুরাণ” নামক প্রাচীন রজত মুদ্র আবিষ্কৃত হইয়াছে। ১৮৭৯ খৃষ্টাব্দে, জিলা ২৪ পরগণার অন্তর্গত জাক্র গ্রামে এই জাতীয় ছয়টি মূত্র আবিষ্কৃত হইয়াছিল । বাঙ্গালী ১২৭৫ সালে দীনবন্ধু মিত্র নামক কোন ব্যক্তি মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত তমলুক নগরে একটি “পুরাণ” আবিষ্কার করিয়াছিলেন । মগধ ও তীরভূক্তির নানাস্থানে "পুরাণ” আবিষ্কৃত হইয়াছে। গত বৎসর পূর্ণিয় জেলায় একস্থানে প্রায় তিন সহস্র “পুরাণ" আবিষ্কৃত হইয়াছিলশ । ভারতবর্ষে যে সময়ে “পুরাণ” ব্যবহৃত হইত, সেই সময়ে দুই জাতীয় তাম্রমুদ্রার ব্যবহার ছিল। প্রথম, বৃহৎ তাম্রখণ্ড হইতে কতিত ক্ষুদ্র চতুষ্কোণ তাম্রমুত্র এবং দ্বিতীয়, "ছাচে চালা” (east) চতুষ্কোণ বা গোলাকার মূত্র। ভূতত্ববিভাগের ভূতপূর্ব চিত্রকর মৃত নৃপেন্দ্রনাথ বস্থ ২৪ পরগণা জেলার বসিরহাট মহকুমার অন্তর্গত বেড়াচাপা গ্রামের নিকটে শেষোক্ত প্রকারের ছয়টি তাম্রমূদ্র আবিষ্কার করিয়াছিলেন । তৎকর্তৃক সংগৃহীত মুদ্রাগুলি এখন বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষম্বের চিত্রশালায় রক্ষিত আছে? • । দীনবন্ধু মিত্র তমলুকেও এই জাতীয় একটি মূত্র পাইয়াছিলেন - । গত পাচ বৎসরে বাঙ্গালাদেশের নানাস্থানে এই জাতীয় श्रृङ्ख्या चाङ्किङ झ्हेब्राप्छ । (*) Proceedings, Asiatic Socity of Bengal, 1879. p. 245 (*) Ibid, 1882, p. 112 _ (*) Annual Report of the Indian Museum, Archaeological Section 1913-14 > * : A Descriptive List of Sculpturs and coins in the Meseum of the Bangiya 8ahitya Parisad, p. 40 ; Nos. 179-184. » Proceedings of the Asiatic Society of Bengal, 1888, p. 113.
