পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) প্রথম খন্ড.djvu/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ মধ্যে একটির পাপীঠেঘে শিলালিপি আছে তাহ হইতে জানিতে পারা বাখে, কুমারগুপ্ত নামক একজন রাজা ১৪৪ গোঁথাৰে (৪৭২-৭৩ খৃঃজত্ব) সিংহাসন লাষ্ট করিয়াছিলেন “ । শিলালিপিতে এই কুমারগুপ্তের বংশপরিচয় নাই, কিন্তু যুক্তপ্রদেশের গাজীপুর জেলায় ভিটী গ্রামে আবিষ্কৃত একটি রাজকীয়মুঞ্জ (শিল ) আবিষ্কৃত হইয়াছে। ইহা হইতে জানিতে পারা যায় যে, স্কন্দগুপ্তের পরে তাহার ভ্রাতা পুরগুপ্তের পৌত্র কুমারগুপ্ত সিংহাসন লাভ করিয়াছিলেন । ভিটী গ্রামে আবিষ্কৃত রাজকীয় মুদ্রার কুমারগুপ্তই যে সারনাথে জাবিরত শিলালিপির কুমারগুপ্ত, তাহার কোন প্রত্যক্ষ প্রমান জাবিষ্কৃত হয় নাই, কিন্তু সারনাথের শিলালিপির কুমারগুপ্ত যে ভিন্ন ব্যক্তি সে বিষয়েরও কোন প্রমান নাই, সুতরাং প্রমাণাভাবে উভয়লিপির কুমারগুপ্ত অভিন্ন বলিয়া গ্রাহ্য হইতে পারে। অধ্যাপক কাশীনাথ বিশ্বনাথ পাঠক প্রমুখ কয়েকজন পণ্ডিত এই মত গ্রহন করেন নাই । তাহাদিগের মতামতের জন্য পরিশিষ্ট স্ব দ্রষ্টব্য। ’ সারনাথে আবিষ্কৃত শিলালিপি হইতে প্রমাণ হইতেছে যে স্কন্ধগুপ্তের রাজ্যান্ত হইতে ১৫৪ গোপ্তান্ধের পূর্বে গুপ্তরাজবংশের তিনজন সম্রাট সিংহাসনারোহন করিয়াছিলেন। স্কন্দ্রগুপ্তের কনিষ্ঠ ভ্রাতা গুরগুপ্ত সিংহাসনারোহন করিয়াছিলেন কারণ ভিটী গ্রামে আবিষ্কৃত রাজকীয় মুদ্রায় তাহার পরমেশ্বর পরমভট্টারক মহারাজাধিরাজ উপাধি দেখিতে পাওয়া যায় এবং তাছার নামাঙ্কিত দুইটি স্ববর্ণমুদ্র আবিষ্কৃত হইয়াছে * । ডাক্তার শ্রীযুক্ত রমেশচন্দ্র মজুমদারের মতানুসারে স্কন্ধগুপ্ত ও পুরগুপ্ত একই ব্যক্তির নামান্তর মাত্র। কিন্তু কতকগুলি সুবর্ণমুদ্রায় স্কুলগুপ্তের নাম এবং কতকগুলিতে একইস্থলে পূরগুপ্তের নাম থাকায় প্রমান হইতেছে যে স্কন্দগুপ্ত ও পুরগুপ্ত ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি। পুত্রগুপ্তের মৃত্যুরপরে তাহার পুত্র নরসিংহ গুপ্ত সিংহাসন লাভ করিাছিলেন। (wo), Annual Report of the Archaeological Survey of India, 1914-15,pp. 124 - - o (v*) Journal of the Asiaatic Society of Bengal, 419, part 1, p. 89." - (sv) Indian Antiquary s vot xivli, 1918, pp. 1920. os (») Catalogue of Indian coins, Gapta dynastine, p. 134