পাতা:বাঙ্গালার ইতিহাস (রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়) প্রথম খন্ড.djvu/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* बांधणांच्च हैउिहाँजे কম্বিয়াছিলেন এবং প্রয়াগে চিতারোহণ করিয়াছিলেন । এই ঈশানবী সম্ভবতঃ মৌখরীবংশীয় রাজা ঈশানবী। ট্রশনবর্থার একখানি শিলালিপি বড়বাকি জেলার ছাড়াহা গ্রামে আবিষ্কৃত হইয়াছে। এই শিলালিপি হইতে জানা যায় যে, ঈশানবর্থ সমুদ্রতীরবাসী গোঁড়গণকে স্বাধিকারমধ্যে থাকিতে বাধ্য করিয়াছিলেন। ছাড়াহা গ্রামের শিলালিপি ৬১১ বিক্রম সম্বৎসরে (৫৫৪ খৃঃজস্ব) উৎকীর্ণ হইয়া" ছিল স্থতরাং ঈশানবীর গৌড়বিজয় এবং তৃতীয় কুমারগুপ্তের সহিত তাহার যুদ্ধ খৃষ্টীয় ঘণ্ঠ শতাব্দীর প্রথম বা দ্বিতীয় পাছে ঘটিয়াছিল । ভান্থগুপ্ত ধখন ২১৪ গেীপ্তাবে (৫৩৩ খৃঃ অন্ধ ) জীবিত ছিলেন তখন ইহা স্বীকার করিতে হইবে যে, তৃতীয় কুমারগুপ্ত খৃষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীর দ্বিতীয়পাদের মধ্যভাগে সিংহাসন লাভ করিয়াছিলেন । অতএব ইহা অনুমান করা যাইতে পারে যে, ষষ্ঠ শতাজীর পঞ্চমদশকে ইশানবী পূৰ্ব্বদেশ আক্রমন করিয়াছিলেন এবং তৃতীয় কুমারগুপ্তের সছিত তাহার যুদ্ধ হইয়াছিল। কৃষ্ণগুপ্ত বা গোবিন্দগুপ্তের বংশের যে সমস্ত শিলালিপি জাৰধি আবিষ্কৃত হইয়াছে, তৎসমুদয় অঙ্গে বা মগধে আবিষ্কৃত হইয়াছে, স্থতাং গৌড়দেশ তাহাঙ্গের অধিকারভুক্ত ছিল কিনা তাহ বলিতে পারা दीघ्र नाँ { হাতাহা গ্রামে আবিষ্কৃত শিলালিপিতে তৃতীয় কুমারগুপ্তের উল্লেখ নাই কিন্তু সমুদ্র -জীয়ৰালী গোঁড়গণের নাম উক্ত শিলালিপিতে যে ভাবে উল্লিখিত হইয়াছে গছা হইতে বোধ হয় যে, সে সময় গৌড়দেশ স্বাধীন হুইয়াছিল। উক্ত শিলালিপিতে গৌড়গণকে “সমূদ্রশ্ৰয়ান"আখ্যা প্রদান করা হইয়াছে। ইহা হইতে বোধ হয় স্থচিত হইতেছে যে, গৌড়গণ নৌ-বলে বলীয়ান ছিলেন। খৃষ্টীয় উনবিংশ শতান্ধীর শেষভাগে বাঙ্গালাদেশে ফরিদপুর জেলায় চারিখানি তাম্রলিপি আবিস্কক্ত হইয়াছে, নানাকারণে ১৯১৭ খৃষ্টাঙ্গ পর্যন্ত ইহাদিগের পাঠোদ্ধার হয় নাই। ১৯১৭ খুটাজে স্বৰ্গীয় পাজিটার (F, E, Parsiter ) এই চারিখানি তাম্রলিপির মধ্যে (») Fleet's Corpus Inscriptionum Indicurum, vol III. p.203. (২) কৰা চান্নতি মৌচিত স্থলৰে গোঁড়ান সমুদ্রাশ্রয়া নৰ্যালিষ্ট নভক্ষিতীশচরণঃ সিংহাসনংযোজিতী । Epigraphia Indica, Vol vii, pt, 117, (a) ibid, p. 118.