পাতা:বাঙ্গালা ভাষার অভিধান (দ্বিতীয় সংস্করণ) দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১০৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিঃ (ত) ( কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গৃহীত ) বাংলা বানানের নিয়ম। মিকা —বাংলা ভাষায় প্রচলিত শব্দসমূহের খুধ্যে যেগুলি সংস্থত ভাষ৷ হইতে অপরিবর্তিত ভাবে মাসিয়াছে তাহাদের বানান প্রায় সুনির্দিষ্ট। কিন্তু যে সকল শব্দ সংস্কৃত নহে, অর্থাৎ যেগুলি দেশজ বা অজ্ঞাত মূল, বিদেশাগতঅথবা সংস্কৃত বা বিদেী শব্দের অপবংশ, তাহাদের বানানে বহুস্থলে বিন্নিতা দেখা যায়। ইহার ফলে লেখক, পাঠক, শিক্ষকও ছাব-সকলকেই কিছু কিছু অসুবিধা ভোগ করিতে হয়। বাংলা বানানের একটবহুজনগ্রাহ নিয়ম দশ-বিশ বৎসরের মধ্যে যে কাপন। হইতেই গড়িয়া উঠিৰে এমন লক্ষণ দেখা যাইতেছে না। বাংলা ভাবার লেখকগণের মধ্যে যাহারা শীর্ষস্থানীয় তাহাদের সকলের বটানের রীতিও এক নহ। সুতরাং মহাজন-অনুস্থত পন্থা কোনটি তারা। সাধারণের বুঝিবার উপায় নাই। কিছুকাল পূর্বে রবীন্দ্রনাথ চলিত বাংলা ভাষার বানানের রীতি নির্দিষ্ট করিয়া দিবার জন্য কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুরোধ করেন। গত নভেম্বর মাসে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বানানের নিয়ম সংকলনের জন্য একটি সমিতি গঠিত করেন। সমিতিকে ভার দেওয়া হয়—যে সকল বানানের মধ্যে ঐক্য নাই সে সকল বধাসম্ভব নির্দিষ্ট করা এবং ধৰি বাধা না থাকে। তবে কোন কোন গলে প্রচলিত বানান সংস্কার করা। প্রায় দুই শত বিশিষ্ট লেখক ও অধ্যাপকের অভিমত আলোচনা করিয়া সমিতি বানানের নিয়ম সংকলন করিয়াছেন। বলা বাহুল্য, ঘাহাঁদের মভিমত সংগৃহীত হইয়াছে &াহাদের মধ্যে ঘেরপ কতকগুলি বিষয়ে মতভেদ আছেসেইরূপ মতভেৰ সমিতির সত্যগণের মধ্যেও মাছে। বিভিন্ন পক্ষের যুক্তি-বিচারের পব সংস্ত্যগণের মধ্যে যতটা মতৈক্য ঘটিয়াছে তধমূসারেই বানানের প্রত্যেক বিধি রচিত হইয়াছে। এই ব্যবস্থার ফলে যে নিয়মাবলী সংকলিত হইয়াছে তাহ৷ ঘেৰিয়া হয়তো কেহ কেহ মনে করিবেন-বানানের যথেষ্ট সার হয় নাই, কেংবা ভাবিনে— প্রচলিত রীতিতে অবগা হস্তক্ষেপ করা হইয়াছে। বানাননিরণের প্রথম চেষ্টায় এইরুপ মধ্যপন্থা অবলম্বন করা ভিন্ন অঞ্চ উপায় নাই। সুখের বিষয়, বহু ব্যক্তি বিশ্ববিধ্যালয়ের এই চেষ্টায় থাগ্রহ প্রকাশ করিয়াছেন। যদি সাধারণে সংকলিত নিয়মাবলী গ্রহণ করেন। তবেই অনেক বাংলা শব্দের বিভিন্ন রূপ উপস্থত হইবে এবং তাহার ফলে বাংলা ভাষাশিক্ষার পথ কিছু সুগৰ হইৰে। কলিকাতা বিশ্ববিণ্যালয় বর্তক প্রকাশিত ও আনুমোদিত পাঠাপুওকা দিতে ভবিষ্যতে এই নিয়মাবলীসমত বানান গৃহীত হইবে। আবছক হইলে ইহা সংশোধিত ও পরিবর্ধিত হইতে পারিবে৷ (কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ৮ মে দ্বিতীয় সংস্করণের ভূমিকা-এই পুস্তিকায় এধর্ম প্রচারের পর বিশিষ্ট লেখক ও মখাপকগণের নিকট হইতে যে অভিমত পাওয়া গিয়াছে তাহা বিচার করিয়া বানান সংস্কার সমিতি কয়েকটি নিয়মের কিছু কিছু পরিবর্তন করিয়াছেন। এই সংস্করণে সংশোধিত নিয়মাবলী দেওয়া হইল। (কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ২ অক্টোবর ১৯৩৮)। তৃতীয় সংস্করণের ভূমিকা—এই পুস্তিকার বিতীয় সংস্করণ মুণের পর মারও ঋরেকটি অভিমত পাওয়া গিয়াছে গত কেয়ারী মাসে চন্দননগরে বঙ্গীর সাহিত্য সম্মিগনের অধিবেশনে বাংলা বানান সম্বন্ধে আগোচনা হইছেএবং সম্প্রতি রবীন্দ্রনাধও কয়েকটি শব্দ সম্বন্ধে তাহার মত জানাইয়াছেন। এই সকল অভিমত বিচার করিয়া নিয়মাবলীর সংশোধন করা হইল। ছাত্ৰগণের নূতন বানানে মড্যগু হইতে সময় লাগিবে। প্রথম প্রথম কয়েক বৎসর পুরাতন বানান লিৰিলেও চলিবে। কলিকাত৷ বিখৰিগ্যালয় ২• মে ১৯৩৭। —শ্ৰীশ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ] গত নভেম্বর মাসে কলিকাতা বিশ্ববিন্যানর বাংলা বানানের নিয়ম সংকলনের অন্তত একটি সমিতি নিযুক্ত করেন। এই সমিতি বিশিষ্ট লেখক ও মধ্যাপকগণের নিকট একটি প্রমপত্র পঠাইল ৬াহদের অভিমত সংগ্রহ করিয়াছেন। প্রায় দুই শত উত্তর পাওয়া গিয়াছে। কতকগুলি বিষয়ে প্রায় সকল উত্তরদাতাই একমত। কোন কোন স্থলে ৰংপ্রচলিত বানান কিকিং বংলাইয়া সরল করিতে কাহারও আপত্তি নাই। যাবার কতকগুলি বিষয়ে প্ৰৰক মতভেদ দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নিৰুক সমিতি সমও অভিমত বিচার করিয়া বাংলা বানানের যে নিয়ম গ্রহণযোগ্য মনে করিয়াছেন ভাং। নিম্নে বর্ণিত হইল। বানান যথাসব সরল ও উচ্চারণস্থঠক হওয়া বাহনীয়, কিন্তু উচ্চারণ বুঝাইবার জগ সক্ষর বা চিহ্নের বাহল্য এবং প্রচলিত রীতির এতবিক পরিবর্তন উচিত নয়। অতিরিক্ত অক্ষর বা চিহ্ন চাগাইলে লাভ ঘত হইবে তাহার অপেক্ষা লেখক, পাঠক ও মুরাকরের অসুবিধা। জবিক ংইবে। ভাষাতত্ত্ব বিষয়ক গ্রন্থে বা শব্দকোষে উচ্চারণ নির্দেশের জর বই চিহ্নের প্রয়োগ অপরিহার্ধ, fক সাধারণ লেখার ভাহা ভারণ স্বরাপ। প্রচলিত শব্দের উচ্চারণ লোকে অর্থ হইতেই বুৰিয়ালয়। মামাদের ভাষার বহু শব্দের বানানে ও উচ্চারণে মিল নাই, বখা--"গণ, বন ঘন ; জলখাবার, বলধোগ ; আষাঢ়, গা ; সহিত, গলিত ; অৰতর, হ্রস্বতর ; একগা, একটা ; অচেনা, জখো' ।-এইপ্রকায় শব্দের বানান