পাতা:বাঙ্গালা ভাষার অভিধান (প্রথম সংস্করণ).djvu/১৫৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কর্ণ স্বামী মরিয়াছে বলিয়া রোশেন বেগমের নিকট, সংবাদ পাঠাইলেন । বাদশাহ ও বেগম উভয়ে দেখিতে আসিলে আবু ও রোশেন আপাদমস্তক বস্থাবৃত করিয়া মৃতবৎ পড়িয়া রছিলেন । রাজদম্পতি কৌতুহলী হইয়া যখন বলিলেন কে আগে মরিয়াছে বলিঙে পারিলে হাজার মোহর পুরস্কার পাইবে তখন দুজনেই উঠিয়৷ বলিলেন "আমি আগে মরিয়াছি" । এই আলুহোসেন ইয়াৰ বন্ধু লইয়া সৰ্ব্বদা আমোদপ্রমোদে মন্ত দেীপীনতাপ্রিয় অপব্যয়ী যুবকের উপমাস্থল। ছেড়। কাথায় শুইয়। যাহার। লাগ টাকার স্বপ্ন দেখে এবং হঠাৎ হাতে ক্ষমতা ও ধন পাইয়৷ দুইদিনে উড়াইয়া দিয়া বসে তাইদিগকে বিদ্ধপচ্ছলে "আপুহোসেন" আখ্যা দেওয়া হয় । কর্ণসেন--অঙ্গরাজ কর্ণ দানে ও আতিথেয়তায় অদ্বিতীয় ছিলেন। তিনি স্বহস্তে স্বীয় পুত্রকে (૬નન ઋષિ હ ‘કાકાત મારામ ઝુંબુ નિરી অতিথির প্রার্থন পূৰণ করিয়াছিলেন । ৩াঃ হইতে প্রবাদে "দাভা যেন কর্ণসেন।” જાહિં f-નાનિકોબૂળ তারকদেন কাৰ্ত্তিকেয় নিতান্ত মুকুমার ও মুরূপ বলিয়া, প্রবাদে--- "ছেলে যেন কাষ্টিকটি,” “কাক্টিকের মত রূপ।” বিদাপে--"নব কীৰ্ত্তিক ।" কাধিক মথুল-বাঙ্গন বলিয়া কুরূপের প্রতি বিদাপে--"মgব-ছাড কাৰ্ত্তিক ।” তুল –“৬ান-কাট। পরাঁ ।” ફ્રાનtનમાં I ના -જનનિઃમ] લારબદ્ધ માક્રૂના লক্ষ্মণকে বঁiচাইবার জষ্ঠ হনুমান গন্ধমাদন পৰ্ব্বতে ঔষধ আনিতে গেলে তিনি রাবণ কর্তৃক পথে হনুমাণ বধাথ প্রেরিত হন । হনুমানকে মারিলে লঙ্কার অদ্ধ বtঙ্গ্য তঁাহাকে ছাডিয়া দিবেন বলিয় রাবণ তাংfর নিকট প্রতিশ্রুত হন । কিন্তু কালনেমী ৩f২fব পূপেই লঙ্কা ভাগ করিতে আগ্ৰহাম্বিত হন । অতঃপর ફાર્મા(મન્ન ફtજી નિર૭ નાનtનમૌન twરfજા૭ লঙ্কার রাজসভায় হনুমান কর্তৃক নিক্ষিপ্ত ३ग्न । उtश श्८७ कcयाब ५८*३ ७lशt: ফলাকাংক্ষা হাস্তাম্পদ । প্রবাদে –- কালনেমীর লঙ্কা ভাগ।” কালিদ(স—মহাকৰি কালিদাস বাদেবীর বরে কবিত্বশক্তি লাভ করিবার পূৰ্ব্বে এমন মুর্থ ছিলেন যে, কথিত আছে, তিনি একদা কাষ্ঠ আহরণ মানসে বৃক্ষে আরোহণ করত একটী শাখায় বগিয়া তাহাবই মূলদেশ কৰ্ত্তন করিতে থাকেন। তাহা হইতে প্রবাদে—“কালিদাস আর কি—যে ডালে বাস সেই ডাল কাটে ।” কুবের । ত্রঃ ধনাধিপতি যশরাজ কুবের ধন ঐশ্বৰ্য্যপ্রাচুয্যে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ বলিয়া প্রবাদে– "কুবেরের ঐশ্বয,” “কুবেরের ভাণ্ডার," "ধনে কুবের তুল্য” ইত্যাদি। ১৫২৬ কুস্তকর্ণ—লঙ্কাপতি রাবণের মধ্যমত্ৰাতা । দেহের স্থূলতায়, অতি ভোজনে অদ্বিতীয়, কিন্তু নিদ্রার জন্তই প্রসিদ্ধ। ব্ৰহ্মার বরে তাহার ছয় মাস নিদ্রা ও একদিন মাত্র জাগরণের কথা কিন্তু রামরাবণের যুদ্ধকালে তিনি নয়মাস স্বপ্ত ছিলেন, মতান্তরে ছয় মাস নিদ্রাকালের । নয়দিন মাত্র অতিবাহিত হইলে তাহার নিদ্রা | ভঙ্গ করা হয়। “দেখিতে দেখিতে রক্ষ হইল । নিদ্রিত। নাক ডাকে শাথ যেন লঙ্ক৷ চমকিত। বিরিঞ্চির বর-বলে নিদ্র। তার হয় । কথন সে নিদ্রা তার ভাঙ্গিবীর নয় ॥" "পরে রাক্ষসেরা শাপ অভিভূত কুম্ভকৰ্ণ রাক্ষসের, নিদ্রা ভাঙ্গিবারে অক্ষম হইল যতন করিয়া ঢের,” “কেহ কেহ তার মহাকৰ্ণ দুটা দশনে দংশিল বলে, কেহ কেহ তার কাণের ভিতরে জল ঢালে তুলে তুলে,” “ভাষণ মুগের লইয় আশাত করিতে লাগিল বলে," "অনেকে শতন্ত্রী গুহারকারণ যত বল আছে গায়, কিন্তু কুম্ভকৰ্ণ বীরেন্দ্রকেশরী নাহি জাগিলেন তায়,” "সহস্ৰ মাঙ্গ পরে দেহোপরি তার, আরম্ভিল বিচরিতে যত বল যার । সেই সব মাগুঙ্গের সঞ্চারে তথন স্পশস্থ কুম্ভকৰ্ণ করিয়া গ্ৰহণ ৷ জাগরিত হইলেন মেলিয়া নয়ন ।”—রাম, রাজ । ইহা হইতে প্রবাদে– কুম্ভকর্ণের নিদ্ৰা” । প্র— "এত দিন পরে চীন-কুম্ভকর্ণের নিদ্ৰাভঙ্গ ২ইয়াছে” –মানসী ও মর্শ্ববাণী, ১৩২৩ পৌণ। গঞ্জtথান-প্রকৃত নাম "নবাব খানজাহান খুঁ।” । সিরাজুদ্দৌলা দ্রঃ। গদাই লস্কর- -গদাধপ লম্বর নামক জনৈক বিপুলকায় ধণার মন্থরগতি ও কাজকৰ্ম্মে ক্ষিপ্ৰকারিতার অভাব হইতে প্রবাদে—“গদাই লঙ্কলী ৮tল ।” গদাধর।--তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্বর্ণলতা উপন্যাস অবলম্বনে রচিত গিরিশচন্দ্র ঘোধের সবল নাটকের পুরুধচরিত্রবিশেষ । নাটকের নায়িক সরলার ভাশুর শশিভূষণের গুগলক— নিরেট মুর্থ ভগিনীপতির অন্নে পালিত এবং ভগ্নীর অতিরিক্ত আদরে স্ফীত । সে জানিত তাহার দিদিকে বলিয়া দিলেই দিদি তাহার বিহিত করিবে । নিৰ্ব্বোধ গদাধর কিন্তু দুষ্টামিতে পটু, তাহার মুখ দিয়া কথা স্পষ্ট উচ্চারিত হয় না । সে “গডtঢড়" বলে গদাধর বলিতে পারে না । তাঁহার আকারে, কথায়, ভোজনে, চললে, হাস্তে, অঙ্গভঙ্গি এবং ভীরতায় কিষ্কৃতবিমাকার ও হাস্তাম্পদ হইয় পড়ে। পুলিশের লোকের সন্মুখ দিয়া ছদ্মবেশে যাইবার কালে তাহার চলনে পুলিশের সন্দেহ হুইলে তাহার মা বলিয়া ফেলেন এটি আমার বড় মেয়ে “গদাধর ৮ধর” । পুলিশ তাহাকে দাড়াইতে বলিলে ঘোমটার ভিতর হইতে গদাধর বলিয় উঠে “ডিডি ঢল্লে” পুলিশের লোক घफ़ैि অমনি তাহার ঘোমটা তুলিয়া ধরিলে সে দস্তু ও জিহ্বা বাহির করিয়া হাসিতে থাকে। ধৃত হুইবার ভয় অর্থে ব্যঙ্গ বা রঙ্গচ্ছলে উক্ত হয় “ডিডি ঢল্পে ।” গৌরসেন (খান বি, কোম্পানীর আমলে বহরমপুর নিবাসী স্বনাম-প্রসিদ্ধ বদান্ত সহৃদয় ব্যক্তি । কলিকাতা আহীরীটোলায় ইহার ভদ্রাসন এখনও বিদ্যমান আছে। দেনার দায়ে যাহার। জেলে যাইত এবং অর্থাভাবে যাহাঁদের উদ্ধারের আর উপায় থাকিত না তাহাদিগকে গৌরসেন নিজের টাকায় ঋণমুক্ত করিয়া দিতেন। দাতাকর্ণের স্তায় তাহারও নাম প্রবাদ বাক্যে পরিণত হইয়াছে ৷ ২ ৷ [লক্ষণায়] নগদ ঢাকা দিয়া ঋণের দায় হইতে উদ্ধার কৰ্ত্ত ; অন্তের ব্যয় বহনকারী ; দাতা কর্ণসেন। প্র--"এইমামলায় অনেক টাকার শ্রাদ্ধ হইবে, তাহা না হইলে গৌরীসেনের টাকার সদ্ব্যবহার হইবে কিরূপে ?”—হিতবাদী। প্রবাদে – "লাগে টাকা দিবে গৌরীসেন” । অর্থাৎ টাকার প্রয়োজন হইলে গৌরীসেন রূপে যিনি সকল ব্যয় বহন করিতেছেন তিনিই দিবেন, কোন ব্যক্তির ত আর নিজের ঘর হইতে দিতে হইবে না---এই অর্থে ব্যঙ্গোক্তি । ঘটিরাম ডেপুটি-দীনবন্ধু মিত্রের "সধবার একাদশী ’ নামক প্রহসনের চরিত্র "কেনারাম ঘোষ মফঃস্বলের ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট, একদিন উtহার আদালতে “খটিরাম" ফরিয়াদির ডাক পড়িলে কেহ উত্তর না দেওয়ায় তিনি মোকদ্দমা খারিজ করেন, পরে “মুচিরাম” তাহার সম্মুখে উপস্থিত হয়। র্তাংরি ইয়ার জনৈক বেলেলা জমাদার ইহার কারণ জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বলেন---“আমরা বাঙ্গালা খবরের কাগজ ভলের মত পড়তে পারি, কিন্তু ভাই মপোস্বলে গিয়ে দেখলেম হাতের লেখা সেরূপ নয়, বেটার "মু লেগে "খ”য়ের মত "চ" লেখে "ট"য়ের মত, তাইতে ভুল হলো।” “পেস্কার বলে ধর্ম অবতার ঘটরাম নাম নয়, মুচিরামই ওর নাম— আমি মুখ ভারি করে বল্যেম, তোম্ চুপ রও, আর বল্যেম, মুচিরাম কখন নাম হতে পারে না, মুচিরাম যদি নাম হয়, তবে কেন বামনরাম নাম হ না ? কায়েতরাম নাম হল্ক না ? তার মোকদমাটি গ্রহণ কল্যেম।” সেই অবধি উাহার নাম হইল “ঘাটরাম ডেপুটি ।” আর একবার একজন মোক্তার মকদ্দমায় হারিয়া বলেন "কেবল হাকিম যা খুসি তাই কৰ্ত্তে পারেন।” ইহাতে তিনি আদালতের অপমানের অপরাধে মোক্তারের জরিমালা করেন । পেস্কার শেষে উাহাকে বুঝাইয় দেন যে “কেৰল|” মানে মহাশয়"। সেদিন হইতে উাছার আর এক নাম হয় "কেবল হাকিম।”