পাতা:বাঙ্গালা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক বক্তৃতা.pdf/২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बांब्रांच डांवां ९e नांईिड । ভণয়ে বিদ্যাপতি, শেষ শমনভয়ে, , , তুয়া বিনা গতি নাহি আর । আদি অনাদিক, নাথ কৃপায়সি, ভবতারণ ভার তোহার ॥” বিদ্যাপতির এই দুইটি কবিতা তখনকার বাঙ্গালা ভাষায় রচিত ; পূর্বে এক স্থানে উল্লিখিত কারণবশতঃ হিন্দীর সহিত ঐ ভাষার কিয়ৎ পরিমাণে সাদৃশ্য আছে, কিন্তু যাহা হউক, উহা বাঙ্গালা, এইজন্য অপেক্ষাকৃত সহজে বোঝা যায় ; কিন্তু তঁাহার এমন সকল কবিতা আছে, যাহা ঐ রূপ সহজে বুঝা যায় না । তাহা মৈথিলী হিন্দীতে বিরচিত। বিদ্যাপতির সমকালবৰ্ত্তী এক কবি ছিলেন, তঁাহার নাম চণ্ডিদাস। তিনি মিথিলাবাসী ছিলেন না, তিনি বঙ্গবাসী ছিলেন। তিনি বীরভূম প্রদেশের নানুর নামক গ্রামে জন্ম গ্ৰহণ করিয়াছিলেন । বিদ্যাপতির সহিত তাহার অত্যন্ত সখ্যভূাব ছিল। তঁহার অজ্ঞাতসারে বিদ্যাপতি তঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিতেছেন, এবং বিদ্যাপতির অজ্ঞাতসারে তিনিও বিদ্যাপতির সহিত সাক্ষাৎ করিতে গমন করিতেছেন, এমন সময়ে পথিমধ্যে দুইজনের সাক্ষাৎ হইল, এই বিষয়ে চণ্ডিদাসের বন্ধু রূপনারায়ণ একটি মনোহর কবিতা রচনা করিয়াছেন, তাহা আপনাদিগের নিকট পাঠ করিতেছি :-

  • চণ্ডিদাস শুনি বিদ্যাপতি গুণ দরশনে ভেল অনুরাগ । বিদ্যাপতি তব চণ্ডিদাস গুণ দরশনে ভেল অনুরাগ ৷ দুহু উৎকণ্ঠিত ভেল। সঙ্গহি রূপনারায়ণ কেবল বিদ্যাপতি চলি গেল ॥ চণ্ডিদাস তব রূহুই না পারহি চলালহি দরশন লাগি । পন্থহি দুহুজন দুহু গুণ গাওত দুহু হিয়ে দুহু রূহু জাগি ৷