পাতা:বাঙ্গালা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক বক্তৃতা.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮ বাঙ্গালা ভাষা ও সাহিত্য। কিন্তু তাহা আমি কখন শুনি নাই; অতএব তাহা কিরূপ, বলিতে পারি না। এক্ষণে আমরা একটি ধর্মসঙ্গীত রচয়িতা সাধুপুরুষের নিকট আগমন করিতেছি। ভঁহার গীতগুলি অতি সহজ ভাষায় রচিত এবং বঙ্গদেশে সর্বস্থানে পরমার্থসাধক বলিয়া অত্যন্ত ভক্তির সহিত গীত হইয়া থাকে। তাঁহার নাম কবি রঞ্জন রামপ্রসাদ সেন। যখন কলিকাতায় রাত্রিতে রাত ভিখারীদিগের মুখে প্লাহার রচিত গান শ্রবণ করা যায়, তখন চিত্তের অত্যন্ত ঔদাস্য জন্মে এবং সেই সকল গান মনকে পৃথিবীর এত উপরে লইয়া যায় যে, তাহা বলা যায়। ন। রামপ্রসাদ সেন কুমারহট্ট গ্রামে জন্ম গ্রহণ করিয়া ছিলেন এবং রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের সময়ে বিদ্যমান ছিলেন। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র অ্যাহাকে কবিরঞ্জন উপাধি প্রদান করেন। রামপ্রসাদ সেন ধর্মসঙ্গীত ব্যতীত কালী-সংকীৰ্ত্তন ও কবি রঞ্জনবিদ্যাসুন্দর নামক কবিতাদ্বয় রচনা করিয়াছিলেন, কিন্তু প্তাহার রচিত সঙ্গীতের ন্যায় তাহা তত প্রসিদ্ধ নহে। এই সময়ে সুবিখ্যাত কবি রায় গুণাকর ভারতচন্দ্র বিদ্যমান ছিলেন। ইনি বর্ধমান জেলার ভুরস্কট পরগণার পেঁড়ে গ্রামে জন্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন। এবং রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের সভাসদ ছিলেন। ইনি জীবনের শেষভাগে মুলাজোড় গ্রামে বাস করিয়াছিলেন। তথায় তাহার বংশাবলী অদ্যাপি বিদ্যমান আছে। ভারতচন্দ্র ১৬৭৪ শকে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের আদেশে বিরচিত অন্নদামঙ্গল গ্রন্থের রচনা সমাপ্ত | করেন: A