পাতা:বাঙ্গালা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক বক্তৃতা.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গালা ভাষা ও সাহিত্য। MOA) করিবার জন্য এত প্ৰয়াস পাইবার আবশ্যক কি ? টেকচাঁদ ঠাকুরের উক্তি অপেক্ষা পণ্ডিত রামগতি ন্যায়রত্নের খণ্ডন আরও কৌতুক-জনক হইয়াছে, বিশেষতঃ যেখানে তিনি “পাঠকবর্গ দেখুন” বলিয়া পাঠকবর্গ সমীপে আপীল করিয়াছেন, সেই স্থান আরও কৌতুক-জনক হইয়াছে। শ্ৰীযুক্ত বাবু রাজেন্দ্রলাল মিত্রের নিকটেও বঙ্গভাষা বিশেষ উপকৃত আছে । তিনি বিবিধার্থ সংগ্ৰহ প্ৰকাশ করিয়া ভাষাকে বিশেষ সমৃদ্ধিশালী করিয়াছেন। উহা বিদ্যারত্বের একটি খনিস্বরূপ । তিনি প্ৰাকৃতিক ভূগোল প্ৰকাশ করিয়াও বঙ্গভাষার অনেক উপকার করিয়াছেন । সোমপ্রকাশ-সম্পাদক শ্ৰীযুক্ত দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ মহাশয়ের নিকট ভাষা অনেক পরিমাণে ঋণী আছে । তিনি উৎকৃষ্টতর প্রণালীতে সম্পাদিত সম্বাদপত্ৰ প্ৰকাশ ও অনেক নূতন শব্দের ও প্রয়োগের সৃষ্টি করিয়া ভাষাকে পূর্বাপেক্ষা সুসম্পন্ন করিয়াছেন । তিনি বাঙ্গালা ভাষায় সর্বপ্রথমে পুরাবৃত্ত রচনা করেন । এক্ষণকার গদ্য-লেখকদিগের মধ্যে শ্ৰীযুক্ত বাবু বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মহাশয় একজন প্ৰধান। ইহঁর বিষয় আমরা পরে বলিব । গদ্য ছাড়িয়া তৎপরে আমরা সাধারণ পদ্য-বিভাগে এপ্ৰিবেশ করিতেছি । এই বিভাগে ভারতচন্দ্রের পর আমাদিগের দৃষ্টি প্রথমতঃ মদনমোহন তর্কালঙ্কারের প্রতি নিপী তিত হয় । ইহঁর প্রধান গ্ৰন্থ বাসবদত্ত । এই গ্ৰন্থ অনেক ংস্কৃত কবি ও ভারতচন্দ্রের অনুকরণে পরিপূর্ণ। তথাপি