পাতা:বাঙ্গালা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক বক্তৃতা.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& R ", বাঙ্গালী ভাষা ও সাহিত্য । এবং কুলীনকন্যা-প্রণেতা লক্ষীনারায়ণ চক্রবর্তী প্ৰধান । মনোমোহন বস্তুর অন্তর্জগৎ বর্ণনাতে যেমন পারগতা আছে, বাহাজগৎ বৰ্ণনাতে তেমনই পারগতা আছে । ভঁাহার প্রণীত “পদ্যমালা” পুস্তক শিশুদিগের জন্য লিখিত; বয়স্ক লোকে তাহার অল্প সংবাদই রাখেন, কিন্তু সেই ক্ষুদ্র গ্রন্থে এরূপ বাহুজগৎ বর্ণনানৈপুণ্য প্ৰদৰ্শিত হইয়াছে যে, আধুনিক অতি অল্প বাঙ্গাল কবিতাতে সেরূপ দৃষ্ট হয়। প্ৰহসন-মধ্যে মাইকেল মধুসূদনের “ একেই কি বলে সভ্যতা” সর্বশ্রেষ্ঠ । এক্ষণে বাঙ্গালা মুদ্রাযন্ত্র হইতে পঙ্গপালের ন্যায় নাটক বহির্গত হইতেছে । ইহার মধ্যে অধিকাংশ নাটকের সম্বন্ধে ঈশ্বরচন্দ্ৰ গুপ্ত যাহা বলিতেন, তাহ খাটে,-“ না। টক নু भिछेि ।” বাঙ্গালা মুদ্রাযন্ত্র হইতে যেমন নাটক পঙ্গপালের ন্যায় বহিৰ্গত হইতেছে, তেমনি উহা উপন্যাসও ক্রমিক প্রসব করিতেছে, কিন্তু ঈশ্বরচন্দ্ৰ গুপ্ত থাকিলে হয় তা বলিতেন, উপন্যাস নামই তাহদের উপযুক্ত। উহাদিগের অধিকাংশ উপন্যাস অর্থাৎ খারাব সাজান গল্পগুলি; তাহদের প্রণেতারা গল্প ভাল সাজাইতে পারে না । তাহাদিগকে যদি নবন্যাস বলিয়া ডাকা যায়, তথাপি ঈশ্বর গুপ্ত থাকিলে বোধ হয়। বলিতেন যে, নিবন্যাস নাম তাহদের অনুপযুক্ত অর্থাৎ সে সকল নূতন সাজান নহে। তাহাতে উদ্ভাবনী শক্তি অতি অল্পই। প্ৰকাশিত আছে। শ্ৰীযুক্ত প্যারীচঁাদ মিত্র বাঙ্গালী উপন্যাসের সৃষ্টিকৰ্ত্তা, কিন্তু তাহা হাস্যরসের উপন্যাস। পাইকপাড়ার রাজাদিগের স্বসম্পৰ্কীয় গোপীমোহন ঘোষ প্ৰকৃত বাঙ্গালা