) ல் a বাঙ্গালীর গান। তুমি কৃষ্ণ বলে ডক একবার । , শুমরে কোকিল শুন শুন, বলি শুন মিনতি আমার । হরি হার হয়ে আছ মেনে বসিয়ে, মধুর রবো শুনিনে যে আর ॥ এই দেখে বৃন্দাবনে বসন্ত এলো। নীরবে রয়েছ কেন ওরে কোকিল । হরিগুণ গানে পিক্ কর রে এখন, শুনে প্রণ জুড়াক শ্রীরাধার ! মনে জলে, মানো-অনলে, আমি জ্বলি তারো সনে । এ পিরীতি মিলনে । ভুয় দুঃখে আমি ভূখা কি অদুখা, বিধুমুখি ইহা বুঝন কেনে ॥ অভিমানে দূরে, ন ত্যজিলে প্রাণে, কি কর, কি কর, বলি এক্ষণে । প্রলয়ে লক্ষণো, হতেছে এখনো, ं জনে পাছে মরি প্রাণে ॥ হায় কাননে অনলে| লাগিলে যেমন, • কীটে। পতঙ্গাদি হয়ে জ্বালাতন । তোমারো পিরীতে দিবস শর্করী, ততোধিক আমি হতেছি দাহন ॥ ওলে| এদায়ে যে জনে, করে পলায়নো, পরাণে লইয়ে সেই সে বঁচে । আমি লে| সুন্দরি, পলাতে না পারি, কেবলি তোমারি ঐ মমতা গুণে ॥ কমলিনি । কুঞ্জে কি কর । তোমার নব প্রেম ভাঙ্গিল, ব্রজের বসতি বুঝি উঠিল । মথুরাতে যাবে কুষ্ণ ঐ নন্দের ভেরী বাজিলে। সহচরী কহে কিশোর ব্রজে প্রমাদ হইলো। মথুরা হইতে, প্রাণনাথে হেরে নিতে, অঙ্কুর আইলো। খে শ্রামচাদ সোহাগে তোমায়ু । আদরিণী বলে ব্রজেতে । সে শ্রাম সুন্দর মথুরা নগরে, যাবে নিশি-প্রভাতে । সেই বংশীধারী, যাবে সে প্যারি ৩াজে গোকুলে। নিধুবনে ‘রাধ রাধ' বোলে, কে লাশী বাজাবে বলে ॥ সখি ! এই বুঝি সেই রাধার মনোচোর নটবর বংশীধারী। তাঙ্গে সেই বৃন্দাবন, শ্যাম এলেন এখন মধুপুরা। D আমা সব পানে কটাক্ষে চেয়ে, কোরে নিল চিতো চুরি। মথুৰানাগরী কহিছে সবে, কৃষ্ণেরো লাবণ্য হেরি । অঞর সহিতে, কে এলে ঐ রথে কলো রূপে আলো করি । শ্ৰবণে যেমন শুনেছিলাম মাই, (দখিলাম আজ নয়নে । আঁখি মনেরে বিবাদ আমার ঘুচে গেল এত দিনে । এত গুণে রূপে না হলে সখি, গুণময় হযু কি হরি । এমন মাধুবি, কভু নাহি হেরি, আহা মরি মরি মরি ॥ জয়জয়ন্তী-আড়ি । আমি যে তাহারে না হেরিলে মরি, জনাইব না এখন। দেখি আগে আম প্রতি তাহার, আছে কি না আছে মন | দুই মনে এক হয়, তবে অতি সুখেদয়, তানহিলে আমি চাব তাহারে, আরে চাহিবে সে জন | পাহাড়ী—অ{ড়াঠেকা । কি হেতু এমন ভাব নিরখি তোমায় প্লে, বহিতেছে তু নয়নে শোক নীর ধার রে | বল তব ধরি করে, প্রাণ যে কেমন করে, ভাল তো আছেন প্রাণে প্ৰাণেশ আমার রে । হেরি তব মান মুখ, বিদরিয়ে যায় রূপ, উথলিয়া উঠিতেছে, শোক পারাবার প্লে ৷
পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/২৮২
অবয়ব