পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষ্ণমোহন ভট্টাচাৰ্য্য। ২০৫ আছ কুজার প্রেম সম্বোধনে, কোকিল নীরবে বসে আছে তালে। বসে রাজ সিংহাসনে ; হাদে হে চিকণকালা ! হ’ল মুখহীন বৃন্দাবন, শুন মধুসূদন! রাই দিলে চিকণ মালা, এ মধুর কাল ফলে শুকাল। ও মাল৷ কার গলায় দিব মধুমণ্ডলে । কেন শ্রাম, তা'য় গোকুলে পাঠালে বল । কুসুম-হার করে ল’য়ে, ব্রজধামে ঋতুরাজের আগমনে, বৃন্দে নিবেদন করে কৃষ্ণের পায় ; নব নব, তরুলতা সব, বধু হে, এলে রেখে, শ্ৰীমুখ না দেখে, মুখে মুরিয়ে ছিল কুঞ্জকাননে। BB D BBB BB BBB BBS BB BB BBBS BBD DDS তোমার মধুর ত্রীবৃন্দাবন, কুঞ্জবন ফেলে রাধে,— বুদানেসেই অনলে ছিল। মনের বিষাদে, তোমার বিচ্ছেদে ;– বল উদ্ধব হে, কি লিখন কাঙ্গালিনী দেখালে। বসন্তে কিশোরী, বনে ভ্রমণ করি, I সজল আঁখি, মলিন বদন দেখি, “কোথায় হে বনমালি!” বলে কাদে। : কি দুঃখের দুঃখী, রাধার চক্ষের জল চন্দনমাখl, কুষ্ণ অকস্মাৎ মূৰ্ছাগত রাই বলে। মালায় আছে রেখা, লেখা কৃষ্ণনাম ; বৃন্দাবন-বাসিনী আজি কি প্রমাদ ঘটালে। কুষ্ণ, তায় পথে পথে কাদালে ॥ i শ্ৰীকৃষ্ণের হস্তে হস্তলিপি কার, இ ক'রে চিত্র বিচিত্র সাজালে। দিলে কোন ক্ষণে, পত্র দৃষ্টি মাত্র চিত্ত চমৎকার, (শ্ৰাম হে, তোমার গরবিনী রাই) যেন ছিন্নমুল বৃক্ষপ্রায়, বনের কুসুম তুলে, নানা জাত, জাতি খুথি,— পড়লেন এই রাজসভায় হরি, দগ্ধ হয়ে স্যাম শোকে, যেন শক্তিশেল বিধলো কদ-কমলে | মুগ্ধ মধুর বন দেখে খাম হে! শ্ৰীকৃষ্ণের ভাবোম্মাদ, হেরিয়ে সে সংবাদ, তোমার গরবিনী রাই, | উগ্রসেন উদ্ধবেরে কয়,-ওহে কৃষ্ণ সখা, মধুর ভাবে গেথেছিল মধুমালতী। দেখ দেখহ কুষ্ণের কি ভাব উদয়। হয়ে বিচ্ছেদ ব্যাকুল, বকুল ফুল, যেন কি ধন হয়েছেন হার, গেথে মালা প্যারী সে জালায় ; কি মনের দুঃখে,চঙ্কের বারি বক্ষে বহিছে ধারা। কৃষ্ণ কৃষ্ণ বলি, গেথে কৃষ্ণকলি, হয়ে কার মায়ার মোহিত, ধূল্যবলুষ্ঠিত মূৰ্ছা যায় কৃষ্ণ বলে পড়ে ধূলায়। হরি ত্যজে রত্নসন, কলিবরণ ভুতলে।

দুখী তাপী কত দেখতে পাই, কুষ্ণ, দেখ হে, একবার দেখে যাও, এই মধুরাজ্যধামে এসে যার হে।

বসন্তের প্রণাস্ত হ’ল । এমন কাঙ্গালিনী, গুমি মনমোহিনী, ব্রজের দুংখানল, রাধার শোকানল, কখন ত দেখি নাই। প্রবল হয়ে বিচ্ছেদ দাৰানল, কাঙ্গাগিনী বুঝি নয় সে, তোমার ঋতুরাজ সসৈষ্ঠে পুড়ে মোলো । নারীর বুঝতে নারি কি লীগে, বসন্তে ঐকান্তে সম্বোধিয়ে, সে কোন মনোমোহিনী, দিয়ে মোহিনী, বৃন্দে কয় ব্রজের বিবরণ; দিলে কৃষ্ণের মন মোহিমে। কৃষ্ণ হে, কৃষ্ণতাপে দগ্ধ, মায়া করে এসে মথুরায়, কাঙ্গালিনীর বেশে, তোমার সেই মধুর বৃন্দাবন। কৃষ্ণধন কাঙ্গালের পাছে লয়ে যায়। শুক শারী ডাকে নাহে কৃষ্ণ বলে ; ) নারী মায়াবী, জানে ছল, মনে বহে অঙ্কজল, মধুকরের মধু মধু রব, সে রব নাই হে ; আগে আপনি কেঁদে স্যামকে কঁদিলে ॥