দাশরথি রায় । ললিত ঝিবিটি – পিতলে । আয় রে! প্রাণ যায় রে! মাকে দেখ! দে বে মাখন-চোরা ! মরি রে নীলমণি রে! তোর,— শোকে জননী সকাতরা ॥ কি ছলে গোবিন্দ ময়ে কালি ব'লে গেলি তোরা আমার কেঁদে কেঁদে নয়নের তারা— গেছে ওরে নয়ন-তারা,— তারা-আরাধনের নিধি তেরে হয়ে হার ॥ বছ গগনে ন উঠিতে ভানু, চঞ্চল ক্ষুধায়ু তনু, অঞ্চলের নিধি মায়ের অঞ্চল-ধরা,— ও বিধু-বদন চেয়ে এখন, কে দেয় ক্ষীর নবনী, কার মাকে মা বলিয়ে পাসরিলি রে না মণি! বাছা! কে জানে বেদন, বিনে জঠরেতে ধরা ॥ বাছ, উদিত হ’লে দিন-মণি, সাজাতাম রে নীলমণি ! ও রূপ পসরা—সে রূপ যায় কি পাসর,— সাজাতাম তোর ইন্দু-বদন অলকা-তিলকে,— রাধা- নামাঙ্কিত-শিথিপুচ্ছ-চুড়া মস্তকে, গলে গুঞ্জমালা কটী-বেড়া পীতধড়। ললিত-একতাল।। রাম-সীতা-যুগলেতে কি শোভা হ'ল উজ্জ্বল। নীলগিরিবরে যেন কনকলতা জড়িল । আসি সব প্রতিবাসী, হেরে ঐরুপ মন উদাসী, হয়ে উদয় যুগল-শশী,অযোধ্যা করেছেন আলে৷ দাশরথি খেদে কয়, মিছে আশা দুরাশয়, রেখেছে ীে ধ ঐ পদদ্বয়, বক্ষে করি চিরকাল কাল ॥ মল্লার—কাওয়ালী। কি কর রে মন । অনিত্য ভাবনা। শমন-সঙ্কটাৰ্ণবে, অনায়াসে পার হয়ে যাবে, ষে নাম ভাবিলে জীবের যায় ভাবনা ॥ ওরে, কুমতে কুপথে সদা ক’র না ভ্রমণ, চল রে চরণ! ঐরামের শ্ৰীচরণ,— দরশন করিলে ভবে, হৰে সিদ্ধ কামনা। 2.○> ওরে পদ কর দে পদ সম্পদ, আপদের আপদ, এ সম্পদ মিছে আর ভেবে না, কর হৃদয়-পদ্মেতে সে পদ-স্থাপন ॥ অবগু কলুষ তবে হবে রে নিধন, হরের হৃদয় ধন, করিলে আরাধন,— ঘুচাবেন দাশরথি দাসের জঠর-যন্ত্রণ ॥ খাম্বাজ—অভূখেমুট। কে বনে গৌরবরণ ! নিলাম শরণ হও হে স্বামী কামিনীর মনোচোরা ধন, এখন যোগীর যোগ্য নও হে তুমি। মনের মতন, পেলাম রতন, ত্ৰিভূবন ভ্ৰমি,— হও আমার প্রেমের গুরু কল্পতরু, তোমায়ু দিব হে যৌবন প্রণামী। সামান্ত রমণী নই হে, হও প্রেমের প্রেমী,— শুনেছ শমন-দমন, সেই রাবণ, রাজার ভগ্নী আমি ॥ অহং-একতালা । কি দিব তুলনা, জগতে মেলে না, তোমার তুলনা, তুমি হে হরি! আছেন নাভিপদ্মে বিধি, তোমার গুণনিধি, তুমি বিধির বিধি, সৰ্ব্বোপরি ॥ ভজে তোমার পদদ্বয়, মৃত্যুকে কল্লেন জয়, মৃত্যুঞ্জয় নাম ত্রিপুরারি। চরণে জাহ্নবী, পাষাণ মানবী, স্বর্ণময় হলো কাষ্ঠতরী, ওহে তোমার অভয় পায়, জীবে মুক্তি পায়, ভবের উপায়,—পারের তরী। বলির বাড়ালে সম্পদ, দিয়ে মাথে পদ, দিলে ইন্দ্রপদ, স্বর্গোপরি। ौमत्र औनदकू, করুণার সিন্ধু, ত্ৰাণ কর ভবসিন্ধুবারি। হলে পূর্ণ অবতার, হরিতে ভূভার, রাবণ বধিতে রামরূপ ধরি ॥
