কমলাকান্ত । ২৬১
যার কালীনাম আগুসার, কালের ভয় কি আছে তার ; তুমি এই কোরে সতর্কে থেকো, কালোবরণ ভোল পাছে ॥ কমলাকাস্তের কথা, ঘুচিল আমার মনের ব্যথা
এবার নাম জেনেছি, ধাম চিনেছি,
পথ বড় সুগম হয়েছে ৷
ভৈবেঁ!—একতালা !
জনন রে মন । পরম কারণ, কালী কেবল মেয়ে নয়। মেহের বরণ, করিয়ে ধারণ,
কখন কখন পুরুষ হয় ৷ ” হয়ে এলেকেণী, করে লয়ে আসি
দনুজতনয়ে করে সভয় । *ছু ব্ৰজপুরে আসি, বাজাইয়ের |ণী,
বজাঙ্গনার মন হরিয়ে লয় | ত্ৰিগুণ ধারণ, করিয়ে কখন,
করয়ে স্বজন পালন লয় । কন্তু আপনার মায়াম আপনি বধ, ধ ইনে এভব-যাতন সয়ু ॥ যেরূপে যেজন, করয়ে ভাবনা ;
সেরূপে তার, মানসে রয়। কমলাকাস্তের হদি-সরোররে, কমল-মাঝারে করে উদয় ॥
সিন্ধু—পোস্তা। মজিল মন-ভ্রমর, কালীপদ-নীল-কমলে । " বিষয়-মধু তুচ্ছ হৈল,
কামাদি কুসুম সকলে ৷ চরণ কালো ভ্রমর কালো,
কালে কালোয় মিশে গ্যালো ; "খো মুখদুখ সমান হোলো,
আনন্দসাগর উথলে ॥ কমলাকাস্তের মনে, আশা পূর্ণ এতদিনে ; দfখ পঞ্চতত্ত্ব প্রধান মত্ত,
রঙ্গ দেখে ভঙ্গ দিলে ॥
স্বাঙ্গজি—জলদ তেতালা—ভাল ফেরত । তারার বুঝি ইচ্ছা নয় মা ! তোমার বুঝি ইচ্ছা নয় গো ! এ দীন ভবে মুক্ত হয়। নতুবা আমারে কেন বিড়ম্বন অতিশয় ॥
( জলদ তেতাল )
দিয়েছ দৃখ আর বা দিলে ; সয়েছি মা আর বার সবে ;
অকলঙ্ক তারা নামে, লোকে পছে কিছু কয়।
একতালা ।
শরীর সাধন, মিছা যতন, হয় পুরাতন আবার মতন ; হোচ্ছে যাচ্ছে আবার আসছে, ভ্রান্তি মাত্র কিছুই নয়। কমলাকাস্তের ঠাই, আর কিছু কামনা নাই ;
মুদ্লে আখি যেন দেখি, কালো বরণ সুধাময় ॥ (জলদ তেতাল)
i\
স্থরট-মল্লায়—একতাল ।
আর কিছু নাই সংসারের মাঝে, কেবল কালী সার, রে । (আমার) মন কালী, ধন কালী,
প্রাণ কালী আমার, রে ॥ (কেহ) সংসারে এসেছে, বড় সুখে আছে
পেয়েছে রাজ্যভার । (আমার) দরিদের ধন, দুখানি চরণ, | হৃদয়ে পরেছি হার, রে ॥ এতনু ধারণে, এতিন ভুবনে, যাতনা নাহিক আর ।
কিন্তু হেরিলে ওমুখ, দূরে যায় দুখ,
এই গুণ গুমা মার, রে । কমলাকাস্ত হয়ে ভ্রান্ত, বেড়াইছে বারে বার। (এবার), অভয় চরণ, লড়েছে শরণ,
অনায়াসে হলে পার, রে ॥
টোঙ্গ ভৈরব-জলদ তেতালা । শিবসুন্দরি গে। মা ! স্তৃপ্তিং ন জানামি। কর বা না কর পর, তবু তোমারি আমি।
পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/৩৫৩
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
