পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/৩৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলাকান্ত । গেী দিয়ে দিগম্বরে, আনন্দে রোয়েছ স্বরে, র্কি আছে তব অস্তরে না পারি বুঝিতে । কামিনা করিল বিধি, তেঁই হে তোমারে সাধি, নারীর জনম কেবল যন্ত্রণ সহিতে ॥ সতিনী সরলা নহে, স্বামী সে শ্মশানে রহে তুমি হে! পাষাণ তাহে, না কর মনেতে ॥ কমলাকাস্তের বাণী, শুন হে শিখরমণি ! কেমনে সহিবে এত, মায়ের প্রাণেতে ॥ ஒ_யக_ যোগিয়া-জলদ তেঁতাল । গঙ্গাধর হে শিব শঙ্গর । কর অনুমতি হর, যাইতে জনক ভবনে ॥ ক্ষণে ক্ষণে মম মন, হইতেছে উচাটন, ধারা বহে তিন নয়নে ॥ স্বরামুর নাগ নরে, আমারে স্মরণ করে, কত না দেখেছি স্বপনে যোগনিদ্রা বোরে। বিশেষে জননী আসি, আমার শিয়রে বসি, মা দুর্গ বলে ডাকে সম্বনে ॥ মায়ের ছল ছল দুটি আঁধি, আমারে কোলেতে রাখি, কত না চুম্বয়ে বদনে। জাগিয়ে না দেখি মায়, মনে দুঃখ কুব কায়, বল প্রাণ ধরি কেমনে ॥ হউক নিশি অবসান, রাধ অবলার মান, নিবেদন করি চরণে । কমলাকাস্তেরে, দেহ নাথ ! অনুচর, ৰেল্যে বাই আসিব ব্রিদিনে ॥ বিভাস যোগিয়া-জলদ তেতালা । এলো গিরি-নন্দিনী, লয়ে সুমঙ্গল ধ্বনি, ঐ শুনগো রাণি। চল বরণ করিয়ে, উমা আনি যেয়ে, কি কর পাষাণ-রমণি, গো ॥ অমনি উঠিয়ে, পুলকিত হয়ে, ধাইল যেন পাগলিনী। চলিতে চঞ্চল, খসিল কুন্তল, অঞ্চল লোটায়ে ধরণী ॥ আঙ্গিনার বাহিরে, হেরিয়ে গৌরীরে, দ্রুত কোলে নিল রাণী। ২২ ৩ অমিয়বরক্ষি উমামুখশশী, চুম্বয়ে যেন চকোরিণী ॥ গৌরী কোলে করি, মেনকা সুন্দরী, ভবনে লইল ভবানী । কমলাকাস্তের, পুলকে অন্তর, হেরি ওবিধুমুখ খানি। মালসী—ভিওট । এলে গেরি ভবনে আমার । তুমি ভুলে ছিলে, মা বল্যে বুঝি এতদিনে। চিরদিনে । মায়ের পরাণ, কান্দে রাত্ৰিদিন, শয়নে স্বপনে হেরিগো, ওমুখ তোমার। কত কামনা করিয়ে কাননে, আমি রতন পেয়েছি যতনে ; সচন্দন ফুলে নব বিল্বদলে, পূজেছিলাম গঙ্গাধরে গো! হৈয়ে নিরাহার ॥ গিরিপুর রমণী চারিপাশে, কত কহিছে হাস পরিহাসে । তরু মুলে ঘর, স্বামী দিগম্বর, তা নহিলে আর কতদিন হইত তোমার ॥ তুমি পুণ্যবতী গিরিরাণি, শুন কমলাকাস্তের বাণী । জগত জননী, তোমার নদিনী, বিরিঞ্চি-বাঞ্ছিত ধন গে1! চরণ যাহার ॥ খট ঘোগিয়া-জলা তেতালা । শরত কমল মুখে, আধ আধ বাণী ॥ মায়ের কোলেতে বসি, শ্ৰীমুখে ঈষদ হাসি, ভবের ভবনমুখ ভণয়ে ভবানী ॥ কে বলে দরিদ্র হুর, রতনে রচিত স্বর, ম, জিনি কত সুধাকর, শত দিনমণি। বিবাহ অবধি আর, কে দেখেছে অন্ধকার, কে জানে কখন দিবা কখন রজনী ॥ শুনেছ সতীনের ভয়, সে সকল কিছু নয়, মা ! তোমার অধিক ভাল বাসে সুরধুনী। মোরে শিব ছদে রাখে, জটাতে লুকায় দেখে, কার কে এমন আছে মুখের সতিনী ॥ কমলাকান্তের বাণী, শুন গিরিরাজরাণি!