পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/৪১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২২ बिठांन-उि७फ़ै। বৃন্দে কৈ গো কৈ বৃন্দাবন-চাদ। অস্তাচলে চলে ঐ গগন-চাদ ॥ গেল শৰ্ব্বরী, অনুমান করি, কোন চকোরী চাদ উদয় হেরি,— বুঝি ফঁাদ পেতে ধরেছে মোর কালাচাদ । বিনে শ্ৰীকৃষ্ণ কৃষ্ণপক্ষ, যে পক্ষে শুক্ল পক্ষ, সেই পক্ষে সপক্ষ প্রাণনাথ,— এ পক্ষে আঘাত, যেন, পক্ষাঘাত, একি ব্যাঘাত,—বিনা মেঘে বজ্ৰাঘাত ; নেত্রে শিলাঘাত হতেছে নক্ষত্র চাদ ॥ করে নির্দোষের-দূরদৃষ্ট, কোন দুর্মুখী কল্পে নষ্ট, দৃষ্টখন অষ্টে নৈরাশ,— না পুরিল আশ। কে পুরালে আশা, আমার মুখের গ্রাস, কে কল্পে সৰ্ব্বগ্রাস, যেন রাহুগ্ৰাস হয়েছে পূর্ণিমার চাদ। একে নিশিকাল, তাহে শশী কলে, কাল কোকিল কাল, কালার সর্ব কাল, কালে কাল স্বরূপ হলো সখি নখচাদ ॥ মমোহরসাহী। শুাম শুক পার্থী, সুন্দর নিরধি, পার্থী ধরেছি নয়ন র্যাদে। তারে হদয়পিঞ্জরে, রাখিতাম ভরে, প্রেম শিকলিতে বেঁধে । যখন পড় পড় বলি, দিতাম করতালি, পাখী ডাকিত শ্রীরাধা বলি। পার্থী কিছুদিন রয়ে, শিকল কাটিয়ে, এসেছে পাখী উড়ে, এখন পরম্পরা শুনি, কুজা নামে রাণী, রেখেছে সে পাখী ধরে ॥ ওহে দোহাই মহারাজ, কইণ্ডে পাই লাজ, এসেছে পাখী এ পারে। আমি কহি পুটাম্বুজে তোমার তজবিজে পাইতে সে কি পারে, গুহে তার পাখী সেকি পাইতে পারে। தாக বাঙ্গালীর গান । মনোহরসহী—রাপক। একি অপরূপ যেন গগনের শশী বসি ভূতলে। অরুণ বরণ হয়ে নিদারুণ, এত সাধের তরুণ, তরণী আজ কে ভাসালে ॥ যেমন জলেতে জন্মে কমল, জলেতে ভাসে কমল, কমলে হেরি অসন্তব, যা না হয় সম্ভব, তাকি হয় সস্তব, এ যে দেখি গঙ্গার উদ্ভব, যেমন বিষ্ণুপদেড়বার চরণ কমলে। যা ন হয় ঘটন, তাকি হয় ঘটন, হলো কি দুৰ্দ্দৈবের ঘটন । এমন অঘটন ঘটনাকে ঘটালে। মনোহরসাহী । যার বরণ কাল, স্বভাব কুটিল, অস্তরে কি কাল তার। কাল ভালবেসে ভাল, বল কোন কালে হয়েছে কার। না বুঝিয়ে ভজে কাল, দুখে মজে গেল কাল, কাল ভাল বেসে হল আসন্নকাল গোপীকার । এক কালের কথা বলি, ছিল বামন মহা ছলী, তারে ভালবেসে বলি উপকারে অপকার! ভুঞ্জিয়া বলির বলি, ত্রিপাদ ভূমি ছলে ছলি, হরিয়ে বলির বলি, পাতালে দিলে আগার ॥ রামচন্দ্র ছিল কাল, স্বৰ্পণখা বেসে ভাল, সঙ্গি আশে পাশে গেল, তারে কল্পে কদাকার। ছিল সীল মহাসতী, নির্দোষে কল্পে অসতী, পঞ্চমাসের গর্ভবতী, বনে কল্পে পরিহার ॥ মনোহয়সাহী। নূপুর শোনরে শোন, বিনে সুজন, মুজনের বেদন জানেন । অবোধ যদি উচ্চ ভাসে, সুবোধ বুঝায় মৃত্নভাষে, ভষের আভাসে ভাসে, কভু ভুবেন। বড়র বড় দায়, তাতে কি বড়ত্ব যায়, পেলে এক দিন বড়ই পায়, বড় বড় বড় গাছ বই লাগেনা। যদি বেণীর কবরী হতে, সরমে মরে যেতে, নির্লজ্জায় থাক নারীর পায়, ৰাণীর হার্সি পায়