পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/৪৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোপাল উড়ে। মুখেতে বা মৃধাহালি, অন্তরে গরল বাণি, ভাল বাদ বলে আসি, বুঝতে না পেরে ॥ श्रlप्लां । মান ত্যজ ও মানিনি, যামিনী হলো আগত। অনুগত জন প্রতি বঞ্চনা করিবে কত ॥ চেয়ে দেখ বিনোদিনি, অস্তগত দিনমণি, সুধাংশু আসি আপনি, গগনেতে সমুদিত। আরও দেখ চন্দ্রাননি, চাদে মত্ত চকোরিণী, তাতে কোকিলের ধ্বনি, শুনিয়ে হই প্রাণে হত ॥ আড়খেম্টা। মরি মরি হলো একি দায় । হলে একি প্রেমদায় ॥ সুধা আশে সিন্ধু সেঁচে গরল উপায়। আগে না বুঝিয়ে মৰ্ম্ম, করিয়াছি কি কুকৰ্ম্ম, শেষে এই ঘটালেন ধৰ্ম্ম, কৰ্ম্মভোগ আমায়ু ॥ श्रांप्लांट#क| । অভিমান ত্যজ মানিনি লো, যামিনী যে যায়। নিরাশ আশা-সলিলে ভাসাবি আমায় ॥ অপরাধী দোষী হ’লে, তারে কি ভাসাবে জলে, কৃপা করি চাহ ফিরে, ধরি তব পায়। একান্ত নিদয় হ’লে, মম প্রাণ বিনাশিলে, পড়ে আছি পদতলে, কর লে| উপায় ॥ জাড়ধেমূট। যাও যাও মিছে সেধ না । পুরুষ নিঠুর জাতি ভেবে দেখনা। তার সাক্ষী দেখ নয়নে, রাম পাঠান জানকী বনে, পঞ্চমাস গর্ভসনে, ক'রে মন্ত্রণা। আবার দেখ দুঃশাসন, কৃষ্ণার করে বস্ত্রহরণ, পুরুষ নির্লজ্জ এমন, কোথাও দেখি না। আড়ি । বঁধু, আর মিছে সেধ না। তোমার জানা গেছে গুণপণা। জানা গেল জারি-জুরি, ভারি-ভুরি, ওহে নাগর, কারিকুরি আর করে না। 9ృ\లీ না জানি হে কি প্রকারে, জিনিয়াছিলে বিচারে, আপনি না হার মার্মিলে, ক্ষেবা পারে,— ওহে নগর, কেবা পারে তাও জান না। পুরুষ কঠিন জাতি, কুমতি কুরীতি নীতি, সকল কৰ্ম্মে আতিবিতি, ব্যস্ত অতি,— ধৰ্ম্ম প্রতি তাও ভাবে না। কাওয়ালী । বিধুমুখি, কখন কি ভাব নাহি জানি। কখন হও মুধামুখী কখন হও ভুজঙ্গিনী। কখন দাও গগনচদ, কখন দাও গলায় ফাদ, কি ছলে কৌশলে ধনি ঘটালে প্রমদ,— আমি কি ভাব বুঝতে পারি, ও ভাবে যাই বলিহারি, ক্ষীরের ভিতর হীরের ছুরি, জানবো কেমনে ধনি ॥ so একতালা । এত অপমান, কিসে বঁাচে প্রাণ, ওষ্ঠাগত হলো মন যোগাতে। যার জষ্ঠে মরি, সে করে চাতুরি, প্রাণ গেল আমার শখের করাতে ॥ আগে না জেনে মৰ্ম্ম, করেছি কুকৰ্ম্ম, নারীর জন্ম কি অধৰ্ম্ম,আজন্ম গেল পরের হাতে। একতাল । কি কহিলে প্রাণ, শুনে দহে প্রাণ, পুরুষ নিষ্ঠুর,—ধনি। রঙ্গ শুনে অঙ্গ জ্বলে অতিশয়, নারী কি হে এত সরলহদয়, বাহিরে সরল, অস্তরে গরল, মঙ্গায় কুহকে আনি। তার সাক্ষী ধনি, দেখনা ভাবিয়ে, . কীচক মরিল রমণী লাগিয়ে, লঙ্কার রাবণ, হুইল নিধন, নারীর মায়া না জানি। আর কেন মিছে শত্ৰু হাসাহসি, কেন বা এত ভাল-ভাসাবাসি, মুখে থাক প্রাণ, যাই হে স্বস্থান, হয়ে গ্রিয়ে অভিমানী ॥