পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/৪৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রূপচাঁদ পক্ষী । বাড়ীর পাট সোণার গিনি, চায় হাতে হাতে। মেয়ের বেলা বেলতলা, নিমতলা ছাদ খোলা, মরা গোছা সোণার বাল, ছাচল। তলাতে ॥ উচ্চ শিক্ষার প্রভাবে দেশের উন্নতি হবে, সামাজিক কুক্রিয়া যাবে, বিদ্যা জ্যোতিতে। হিতে হল বিপরীত, পাশ করায় বাড়ায় কুরীত, এ শিক্ষ,কার মনোনীত হয় অনিষ্ট যাতে ॥ \সভ্যভব্য গুণবন্ত, সকলে কর সিদ্ধান্ত * যাতে হয় এ বিষয় ক্ষান্ত চূড়ান্ত মতে। বিয়ে কৰ্ত্তে টাকা চায়, ছিছি মরে যাই লজ্জায়, আর্য্যের কলঙ্ক রটায় আর্যাবৰ্ত্তবাসীতে ॥ খগপতির এই মিনতি, যার যেরূপ হয় সঙ্গতি, দেওয়া লওয়৷ সেই পদ্ধতি হোক ধৰ্ম্মমতে। বিবাহের ঘোর বিপদ, হায়রে কি হাস্তাস্পদ, মনুষ্য কি চতুষ্পদ হ’ল ভারতে ॥ لاند в нциве বtহার খাম্বাজ-একতাল । ধন হীনে ত্রিভুবনে মান্ত কে করে। ক্ষুদ্র লোকে হয় রুদ্র ধন-অহঙ্কারে। চৰ্ম্ম কৰ্ম্ম করা মুচি, টাকার গুণে হয় সে শুচি, তার স্বরেতে মোও লুচি, ব্রাহ্মণে মারে। নাই ব্যবসাতে দোষ, দিয়ে সাহস, এক শ্লোক বা ড়েন পরে। ধনং উপার্জনং জন্তং ন দোষ ন দোষী নরে ॥ কড়ি থাকলে বুড়োর বিয়ে, * ६ নির্ধন যুবা বসিয়ে থাকেন স্থা করে, আইবুড়ো হয়ে চেয়ে খেয়ে পথে ধান মরে। তিথির দোষে শেষে তারে মহাপাপ বেরে ॥ পুত্র হয় না, পিণ্ড পায় না, আবাগের বেটা নাম ধরে ॥ জগতে মান্ত টাকা, টাকায় সারে স্তাকা ভ্যাকা, সদ্য মেজাজ হয় বাকা, ফুলিয়ে যান ছাতি । টাকার জোরে ভেকে মারে হাতীকে লাথি। থাকলে পাতি সঙ্গতি খোড়া ঢ:াড়া ফেঁস করে | পতির না থাকূলে সঙ্গতি, সাধ্বী সতী রসবতী, সে বিরক্ত হয়ে অতি শয্যা ত্যাগ করে। ছলে আগুন, চাইলে দ্বিগুণ তিরস্কার করে। ফুডুকু, ফুডুক, টন্‌ছ গুডুকু, উপায় কৰ্ত্তে যম ধরে। ব্যাধি গ্রস্তের থাকুলে রেস্ত, তার নারী হয়ে শশব্যস্ত, ইচ্ছামত কৰ্ত্তে সুস্থ বিবিধ মতে। বলে এসে জল খেতে ব’স, কাজ কি দেরিতে। দিয়ে আদার কুচি খাওগে লুচি, মিশ্রি দেও দুধের সরে ॥ காற (Wጭ –ቚ ! আর্য্য জাতির উন্নতি আর দেখিনে। (এক্ষণে) কারে বলি, ঘোর কলি, হলোরে এতদিনে ॥ ( নব্যদলে, বাহুবলে আখ্যাতি নিলে কিনে। ) সভাতে বস্তৃতা কেবল, কিছু হয় না ফলাফল, যত নব্য বাবুর দল, খোসবাস খাস-বাগানে ॥ হাত পা নড়ে, বচন ঝড়ুে কথাট কয় ব্লগ টেনে । কখন বক্তৃতার বেগে, গলদৃধৰ্ম্ম উঠেন রেগে, বৃথা গর্জন প্রভাত মেখে, বর্ষ ভরসা বিহীনে ॥ পীড়া হ’লে বাড়াবাড়ি, দেবেদেশে রাখতে দাড়ি, এখন দাড়ির ছড়াছড়ি, স্বৰ্গ মৰ্ত্ত্য পাতালপুর; গালপাটা নাই, চিনে কি মালাই, মধ্যে চৈতন ফুরফুর। কারে দাড়ি লম্বমান, কারো দাড়ি ঠিক সপ্তান, কেউ সেঙেছে জাম্বুবান,হিন্দু পাঠান কে চেনে। হ'লে লোকের চালিশে, চশমা ব্যবহার করতো শেষে, বার কি তের প্রবেশে, নাকের ডগায় চশমা লয় ; যাদের গলায় অম্বল বেধে দিলে দম্বল হয় দুধের বালক কচি ছেলে, চশমা ছাড়া নাহি চলে, সুধালে সর্ট-সাইট বলে, হেঁই মারাধে বাচিনে ॥ আধ্য বিদ্যা অধ্যয়ন, করে না আর কোন জন, এখন স্কুলে গমন, কেবল অর্থের প্রয়োজন;