পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/৫৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88br কোথা থাকৃবে বড়ী বাড়ী, পড়ে গড়াগড়ি যাবে। গালপাট কটগোপে কে আদরে আতর মাখাবে ॥ পেমেটম হেয়ারে দিয়ে চেয়ারে কে বসে রবে । বিধুমুখে নিধুর টপ্পা গান ক’রে কে প্রাণ জুড়াবে। বুকের ছতি ফুলিয়ে চাবুক মেরে কে জুড়ী ইাকবে। আরামে আরামে গিয়ে খুনী হয়ে খালী খাবে ॥ রম-টেনে রমণী সনে রমণে কে মজা নেবে। দু'টি নয়ন করে রাঙা রগ টেনে কে কথা কবে। টানা পাখাটাঙ্গিয়ে দিয়ে বৈঠকখানায় বাতাস খাবে। ফুলের তোড়া সাম্নে রেখে সটুকা টেনে সাধ মিটাবে। রোগ হ’লে ডাক্তারে যখন নাড়ী টিপে জবাব দেবে। তখন কুইল ধ’রে উইল ক’রে পরের হাতে দিতে হ’বে ॥ এখন একট পয়সা ব্যয় করন মহামায়ার মহোৎসবে। যখন পাচে পাচ মিসবে তখন পাচভূতে সব লুটে খাবে ॥ খাটে তুলে ঘাটে যখন মু দূরি কাঠে সাধ মিটাবে। প্যারী বলে যাবার সময় মোসাহেব কে সঙ্গে যাবে ॥ μαμαúα খাম্বাজ-একত্তাল । চাপদাড়ি রাখা, চ’খে চলমা ঢাকা, ভয়ানক টং চেগেছে বাংলাতে । এ পথের পথিক, নম্বরে অধিক, (গণনায় অধিক) দেখা যায় কেবল ইয়ং সেঙ্গলেতে ॥ যাদের আঁতুড়ে গন্ধ গায় পাওয়া যায়, চসম নাকের ডগে এ বড় বেজায়, সে সৎ সাজা দেখে কার না হাসি পায়, গম্ভীর ভাবে বসে থাকেন চেয়ারেতে। ফিলোজফার ৰেন ভাবছেন ফিলোজফি, বাঙ্গালীর গান। নবাবী আমলের পুরোণ মৌলবী, বেদব্যাস কিম্বা কালিদাস কবি, নিমগ্ন রয়েছেন থিওরি চিন্তাতে ॥ বুড়া হলে যখন চালশে ধরে চোখে, চসম ব্যবহার তখন করে লোকে, তবু পরাধীন বলে ধরেন অনেকে, অঙ্গ আভরণ হয়েছে কালেতে । জোর করে যখন কেবল বিজ্ঞতা জানান, অলীক আড়ম্বর আর দেশে কেন, ছেলে বুড়ো সাজা সাজেনা কখন, হাস্যাম্পদ কেবল হওয়া সমাজেতে ॥ দেশ যুড়ে উঠেছে দাড়ি রাখা ঢেউ, বাড়ী বাড়ী দাড়ি বাকী নাইকো কেউ, রাখেনকে যার পোদে আছে ফেউ, মনোদুঃখে তারা মলে আপশোষেতে । না বুঝে অনেকে নিগঢ় কৌশল, অনুকরণেতে অমূনি হন পাগল, সাধ করে কেবল সাজে রাম-ছাগল, তুষমন চেহারা কেবল পাই দেখিতে ॥ চেনা যায়ুন। এখন হিন্দু মুসলমান, চেহারায় চখে ঠেকে সব সমান, বড়য্যে কি রমুলবক্স রমজান, অনুমান করা কঠিন এক্ষণেতে । দাড়ি রাখে লোক হলে মহারোগ, দাড়ির সঙ্গে নাই ধৰ্ম্মের সংযোগ, তবে দাড়ি রাখা কেবল কৰ্ম্মভোগ, কামান পয়সাটা পায়নাকো নাপিতে ॥ প্রাচীন প্রণালী দিয়ে যমের বাড়ী, নকল তুলে নিতে ছুটে তাড়াতাড়ি, সাহেবের চটে দেখে চাপ দাড়ি, কবি কয় তবু প্রবৃত্তি দাড়িতে ॥ ৰিভাস—একতাল।। যার পয়সা নাই, ওরে ভাই, সংসারে তার মরণ ভাল । পয়সা ভিন্ন হয় না পুণ্যমান্ত গণ্য কে করে বল । পয়সা হীন হলে নরে, লোকে তারে নিন্দ করে, প্রাণের সহোদরে, সমাদরে আলাপ করেন—