বাঙ্গালীর গান با هوو ۹ 4 পরিবারের প্রতি সদা টানে মন, কেশে ধরে আবার টানিছে শমন, কোথা যাই বল এক রাজমোহন, কব কায় হায় হায় ॥ লালন সাই। ইনি লালন ফকির বলিয় প্রসিদ্ধ । ইহার বাসস্থান নদীয়া জেলার কুষ্টিয়ার নিকটবৰ্ত্তী স্থানে। ] ইহার রচিত দেহতত্ত্ব-বিষয়ক গানগুলি অতি সুমধুব এবং ভক্তিভাবপরিপূর্ণ । বাউলের মুর। দেখনা মন বকুমারি এ দুনিয়াদারি। পড়িয়ে কোপ্নী ধ্বজ কি মজা উড়ালে ফকিরী ॥ বড় দরদের ভাই বন্ধুজন, পরে সাথের সাথী কেউ হবেন, মন তোমারী। আবার এক পথে খালি হাতে, বিদায় করে দেবে তেরি সেই দিনে ॥ তুমি যা কর তা কর রে মন কিন্তু শেষের কথা রেখ স্মরণ বরাবরি। ও তোর পিছে পিছে ফিরছে শমন ওরে কখন হাতে দেবে ডুরি। মন তোমারে। বড় আশার বাসা এ ঘর, কোথায় পড়ে রবে তোমার ঠিক নাই তারি । সিরাজ সাই কয় লালন ভেড়ে, তুই করিস রে কার এস্তাজারি ভেড়ে তুই । আমি একদিন না দেখিলাম তারে । আমার বাড়ীর কাছে আশিনগর এক পরশি বসত করে ॥ ওরে গ্রাম বেড়ে অগাধ পানি, তার নাই কিনার নাই তরণী পারে ; মনে করি, দেখব তারি, আমি কেমনে সেথ যাই রে ॥ আমি বলব কি পরশির কথা, ও তার হস্ত পদ স্কন্ধ মাথা নাই রে, সে ক্ষণেক থাকে শূন্তের উপরে, আবার ক্ষণেক ভালে নীরে। পরশি যদি আমার হত, তবে যমঘাতন সকল যেত দূরে, আবার সে আর লালন একস্থানে রয়, আবার লক্ষ যোজন ফঁক রে ॥ কেশব সাই। ইহার ৰিশেষ কোন পরিচয়, পাওয়া যায় না। ইহঁার খচিত দেহতত্ত্ব-গানগুলি অতি মধূব এবং আদরণীয়। বাউলের মুর-ধেমূট । ও গে। সখি তোরা কি তাই পারবি, ও যে বড় কঠিন পিরাতি, শেষে রাস্তায় বসে কাদবি ॥ সে যে তুফানের উপর তুফান রে, শেষে জ্বালায় জ্বলে মরবি ॥ সে যে আগে দুখ-মাঝে মুখ রে, শেষে অমূল্য ধন পাবিশেষে আঁচলটেনে মরবি। সে যে এক মরণে দুজন মরে রে, দেখ চণ্ডীদাস আর রজকিনী, কেশব সাই সে প্রেম জানে না, কেবল তার চাতুরী ॥ বাউলের সুর-খেম্টা। ঘরের মধ্যে ঘর বেঁধেছ মনমতি-মনোহর । জায়গা হয় না ঘরের মধ্যে থাকে না ঘর ছাড়া ॥ মুলুক জোড় ঘর বেঁধেছে গোস্বরামি এক ছোড়া মল্লুক জোড়া ঘর বেঁধেছে, শুধুই চৰ্ম্মের বেড়া বাহান্ন গলি তিপ্লান্ন বাজার গে, বরের মধ্যে বুত্ব পোরা, মটুকতে মহাজন আছে, নামটি তার অধর। ঘরে কেব। ঘুমায়, কেবা জাগে গো, স্বরে কে দিচ্ছে পাহারা। : ov. তিন জনা তিন তারে খেলে, পবন আছে খাড়া। কেশবচাদ দরবেশে বলে, ঘরে বাস করা হ’ল সারা ॥
