পাতা:বাঙ্গালীর গান - দুর্গাদাস লাহিড়ী.pdf/৯৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিবনাথ শাস্ত্রী। পবিত্র প্রতি-বন্ধনে,ৰাধিয়ে আজি দু'জনে, করহে করুণানিধি করুণা বিস্তার ॥ ঝিঝিট—একতাল।। মঙ্গল-আনন্দধ্বনি করলে পুরনারী; হখ-আশপু হ'লে কৃপায় তাহার। জীবনে জীবনে মিলিল আজ, মিশিয়ে ধরিল মোহন সাজ, মোহিল নয়ন জুড়া’ল ঈদয়, সে শোভা নেহারি। মিলাইয়ে কণ্ঠ ধর লে| তান, জাগাও ধ্বনি যতেক রমণী, আজি হৃদয় ভরি। খাম্বাজ জংলা—সুংরি । প্রণয়ু-শুস্থলে প্রভু বধিয়ে দু’জনে, তব দাস দাসী ক'রে রেখ হে চরণে । যতনে প্রণয়ে, পুষিয়ে হৃদয়ে, আজি যে ঢালিছে প্ৰভু জীবন জীবনে। হে নাথ তোমারি, রচনা কুপরি, বিরচিছ প্রেমলীলা তুমি ত ভুবনে ; তোমারি বিধানে, পরাণে পরাণে, পাধিল মিশিল আজি মোহিয়ে নয়নে । দাড়ায়ে দুয়ারে, ডাকে হে তোমারে, এখনি ফেলিবে পদ সংসার-ভবনে ; প্রভু কৃপা করি, আশীষ বিতরি, দেও হে অভযুদতী অভয় দুজনে ॥ ജ്ജ തു് মল্লার-আড়াঠেকা । অলসে থেক ন৷ আর উঠ শয্যা পরিহরে। সিদ্ধিদাতা সিদ্ধেশ্বর দেখ হে দাড়ায়ে দ্বারে। র্তার কার্য্যে প্রাণমন, কে করিবে সমর্পণ, স্বৰ্গ হতে নিমন্ত্রণ, আসিছে শোন অস্তরে। ,শুনেছি পুরাণে কয়, বিশ্বাসের সদা জয়, সর্ষপ-আম্বতে গিরি কঁপিয়ে থরে থরে ॥ পণ করি মন প্রাণে, এস আছ যে যেখানে, অৰিশ্ৰাস্ত র্তার কাৰ্য্যে রক্ত থাক এ সংসারে। রণক্ষেত্রে এসে ভাই, কেমনে বা নিদ্রা ধাই, রাজিছে সত্যের ভেরী মুগভীর স্বরে। ց ( ) মোহ-নিদ্র পরিহর, ওঠ বঁধ পরিকর, উড়িল ব্রহ্মের কেতু দেখ হে দেখ অম্বরে। জয় সৰ্ব্বশক্তিমান, জয় করুণানিদান, দাও শক্তি মুক্তিদাতা দুৰ্ব্বল হীন নরে ॥ এমন কি দিন হবে, তব কার্য্যে প্রাণ যাবে, এই ভিক্ষা দীনবন্ধু দেও দাসে কৃপা করে ॥ ফিলিত—জাড়া । কালরাত্ৰি পোহাইল উদিল মুখ-স্বপন। আর কি ভারতে যুব রবে ঘুমে অচেতন ॥ দুখ শোক যার ঘরে, সে কি গো ঘুমাতে পারে, তার কি উচিত কতু থাকে ঘুমে অচেতন। অধীনতা কারাগারে, অজ্ঞানত অন্ধকারে, কোটি কোটি নারী নরে, উঠে কর দরশন ॥ কারার বন্দিনী প্রায়, বৃথা দিন চলে যায়, রহিল পশ্চাতে পড়ে যত ভারত-ললনা। ’ বিধবার হাহাকারে, প্রাণ ফাটে ঘরে ঘরে, রমণীর নেত্রসারে ভাসিছে বিধুবদন । যুবক যুবতী,যত, পশিবদ্ধ পাখীর মত, দারিদ্র্য-দুর্দশাক্লেশ কত যে করে বহন। বহু পরিবার লয়ে, অর্থাভাবে মান হয়ে, অশেষ যন্ত্রণা সয়ে বিষাদে কাটে জীবন। এই সব মহাপাপে, এই সব মনস্তাপে, পড়েছ কি অভিশাপে, আছ হয়ে বিচেতন ॥ করে না হে অবহেলা, নাহি ঘুমাবার বেল, বিধাতা ডাকিছেন দ্বারে, উঠ হে মেল নয়ন ॥ আলেয়া—আড়ি । নোপগিরি রে একি শোভা দেখালি নির্জনে। দেখি নাই নয়নে। মুরম্য তব কাস্তারে, নির্জন বন-মাকারে, প্রবাহিত স্রোতস্বতী সুমন্দ গমনে। মৃবসন্ত সমাগমে, সাজি নব আভরণে, প্রকৃতি খুলেছে যেন লজ্জাবগুণ্ঠনে। তরু লতা ফল ফুলে, সাজি বায়ুভরে দেলে, আনন্দে অধীর যেন সখার মিলনে ॥ এ বিচিত্র ছবি হেরে, ডুবিনু ভাব-সাগরে, ফিরিতে পুন সংসারে চাহে নামে মনে।