পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র
৯০

দ্বিতীয় ফ্রণ্টের প্রতিজ্ঞা করিতেছি — বাস্তবিক পক্ষে যাহা ভারতের সংগ্রামে দ্বিতীয় ফ্রণ্ট।  (নবযুগ—২৯ কার্ত্তিক, ১৩৫২ সাল)

 সিঙ্গাপুর অভিভাষণের তিনদিন পরে অর্থাৎ ১২ই জুলাই তারিখে তিনি পুনরায় জানাইলেন সন ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্টের বিরুদ্ধে ঝাঁসীর রাণী লক্ষীবাই ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামে লিপ্ত হইয়াছিলেন। সেই ঝাঁসীর রাণী নাম দিয়া পূর্ব্ব এশিয়ায় এক নারীবাহিনী গঠন করিতে হইবে। ইহার পর আগষ্ট মাসে নেতাজী আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রধান অধিনায়ক হইলেন।

 এই ঘটনার পরে নেতাজীর প্রতিভা, অধ্যবসায় ও অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে অনতিবিলম্বে লক্ষ লক্ষ সৈন্য আসিয়া আজাদ হিন্দ ফৌজে যোগদান করিতে লাগিল এবং আজাদ হিন্দ ধনভাণ্ডারে লক্ষ লক্ষ টাকা ও অন্যান্য সমরোপকরণ আসিতে আরম্ভ করিল। স্বেচ্ছাসেবকগণকে সামরিক শিক্ষা দিয়া উচ্চপদের উপযোগী করিবার উদ্দেশ্যে অনেকগুলি শিক্ষা শিবির ও সংস্থাপিত হইল, এবং এই বিরাট বাহিনী ভবিষ্যৎ স্বাধীন সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হইতে লাগিল।

আজাদ হিন্দ গভর্ণমেণ্ট

 অতঃপর স্বাধীন গভর্ণমেণ্ট স্থাপন করিবার প্রয়োজন উপলব্ধি হইল। ১৯৪৩ সালের ২১শে অক্টোবর তারিখে Independence