পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র
৯২

শাহ-নওয়াজ প্রভৃতি সৈনিকগণের বিচারকালে যে সাক্ষ্য দিয়াছেন, তাহা হইতে জানা যায় যে ভারত অভিযানের পূর্ব্বে জাপান গভর্ণমেণ্টের সহিত আজাদ গভর্ণমেণ্টের এক চুক্তি পত্র সাক্ষরিত হইয়াছিল এবং উভয়পক্ষই দুইটি পৃথক ঘোষণাপত্র বাহির করিয়াছিলেন। জাপান গভর্ণমেণ্ট তাঁহাদের ঘোষণা পত্রে লিখিয়াছিলেন যে তাঁহারা ব্রিটিশের সহিত যুদ্ধে অবতীর্ণ হইবেন, এবং সেই যুদ্ধে যে কোনও দেশ তাঁহাদের অধিকারভুক্ত হইকে অথবা লুণ্ঠন করিয়া যাহা কিছু হস্তগত হইবে তাহা আজাদ গভর্ণমেণ্টকেই দিতে হইবে। জাপানের জেনারেল এই পত্রে সাক্ষর করিয়াছিলেন। পক্ষান্তরে সুভাষবাবু একটি ঘোষণাপত্রে জানাইয়াছিলেন যে তাঁহারা জাপানের সহিত মিলিত হইয়া ব্রিটিশের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামে অবতীর্ণ হইবেন, কিন্তু জাপান ভারতের কোনও অংশ জয় করিতে পারিলে তাহা আজাদ গভর্ণমেণ্টকেই ছাড়িয়া দিতে হইবে। এই ঘোষণাপত্র সুভাষবাবুর সাক্ষরিত ছিল।

ঝাঁসীর রাণী সেনা বাহিনী

(Rani of Jhansi Regiment)

 ঝাঁসীর রাণী লক্ষ্মীবাই স্বদেশের স্বাধীনতার জন্য ১৮৫৭ সালে অশেষ কষ্ট স্বীকার করিয়া যুদ্ধ পরিচালনা করিয়াছিলেন। তাঁহার নামানুসারে এই নারীবাহিনীর নাম দেওয়া হইয়াছিল—‘ঝাঁসীর রাণী সেনা বাহিনী’। ১৯৪২ সালের ২২শে অক্টোবর