পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালার প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র
৯৪

অস্ত্রচালনা, নানাবিধ কৌশল, মানচিত্র গঠন ও সাধারণ বিষয় শিক্ষা দেওয়া হইত। তিন মাস শিক্ষার পর যাহারা কষ্টসহিষ্ণু ও সকলপ্রকার বিপদ আপদ তুচ্ছ করিয়া দেশমাতৃকার সেবা করিতে উৎসুক, কেবলমাত্র তাহাদিগকেই জাতীয় বাহিনীতে নিয়োগ করা হইত ও ত্রিবর্ণ বিশিষ্ট ব্যজ দেওয়া হইত। রোমান হিন্দুস্থানির সাহায্যে সকলকে শিক্ষা দিবার ব্যবস্থা ছিল। বিশ্রামের সময় ব্যতীত সকলকেই সামরিক পোষাক পরিধান করিয়া থাকিতে হইত এবং সামরিক নিয়মানুবর্ত্তিতা মানিয়া চলিতে হইত। পূর্ব্ব এশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়, থাইল্যাণ্ড, ব্রহ্মদেশ প্রভৃতি সকল দেশেরই নারীগণ এই বাহিনীতে যোগদান করে। জাতিধর্ম্ম নির্ব্বিশেষে সকলেই একত্রে আহার বিহার করিত এবং একই ভাষায় কথা কহিত।

শিক্ষাকেন্দ্র

 শিক্ষাকেন্দ্রের আভ্যন্তরীণ দৃশ্য অতি মনোরম ছিল। প্রথমতঃ দ্বাররক্ষিগণ উত্তম সামরিক পোষাক পরিচ্ছদে সজ্জিত হইয়া বন্দুক ও তরবারি হস্তে দণ্ডায়মান থাকিত। রক্ষিগণ তাহাদের অধিনায়কগণ সর্ব্বদাই তৎপর হইয়া আপনাপন কর্ত্তব্য সাধনে নিযুক্ত থাকিত। শান্ত্রীগণের কার্য্য ছিল অস্ত্রাগার রক্ষণ। তত্ত্বাবধায়কগণ মধ্যে মধ্যে শিক্ষাকেন্দ্রের অভ্যন্তরে ভ্রমণ করিয়া রক্ষিদের ও অন্যান্য সকলের কার্য্যকলাপ ও নিয়মানুবর্ত্তিতা লক্ষ্য করিতেন। প্রাতঃকালিন কুচকাওয়াজের