পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯৫
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র

অব্যবহিত পরে ঘর্ম্মাক্ত কলেবরে সকলেই আপনাপন আহার ও পানপাত্র লইয়া জলযোগের জন্য রন্ধনগৃহের সম্মুখে সারি দিয়া দণ্ডায়মান থাকিত এবং আহার সমাপ্তির সঙ্গে সঙ্গেই অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হইয়া পুনরায় কুচকাওয়াজের মাঠে উপস্থিত হইত ও আপনাপন অধ্যক্ষের আদেশের অপেক্ষায় থাকিত। ইহার পরই সর্ব্বপ্রকার সামরিক শিক্ষা দিবার ব্যবস্থা ছিল। এই শিক্ষা সমাপ্ত হইলে তাহারা প্রত্যহ বেলা ১টার সময়ে স্নান আহার করিত। অপরাহ্ণে বক্তৃতাদ্বারা শিক্ষা দেওয়া হইত। রোমান হিন্দুস্থানী শিক্ষা দেওয়াই এই ক্লাশের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। সপ্তাহে দুইদিন কুচকাওয়াজ করিয়া ভ্রমণের জন্য নির্দ্দিষ্ট থাকিত। তাহারা যখন পৃষ্ঠে থলি, স্কন্ধদেশে বন্দুক, পায়ে বুট ও পট্টি পরিয়া এবং দলের অধিনায়িকাকে সম্মুখে লইয়া কুচকাওয়াজের গান (Marching song) গাহিতে গাহিতে তালে তালে পদক্ষেপ করিয়া চলিয়া যাইত, সে দৃশ্য দেখিতে বড়ই মনোরম বোধ হইত। এইরূপ একটি দল একবার মেমিও হইতে মান্দালাই পর্য্যন্ত প্রায় ৪৪ মাইল পথ কুচকাওয়াজ করিয়া যায়। ক্লান্তি বোধ হইলে তাহারা গান গাহিয়া, গল্প করিয়া ও যুদ্ধেরত ভ্রাতৃগণের কথা স্মরণ করিয়া শক্তি সঞ্চয় করিত।

নারীবাহিনী গঠনের উদ্দেশ্য

 এই সেনাবাহিনী গঠনের উদ্দেশ্য এই যে তাহারা যেন স্বাধীন ভারতে পুরুষের সঙ্গে থাকিয়া সমানভাবে সকলপ্রকার