পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র
৯৮

ভারতবাসীর রক্তদ্বারা এই নারীবাহিনী গঠিত হইয়াছিল। জাপানীদের সহিত ইহার কোনও সম্বন্ধ ছিলনা। রেঙ্গুণ ব্রিটিশের হস্তগত হইবার সঙ্গে সঙ্গে এই নারীবাহিনী বিচ্ছিন্ন হইয়া যায়।

বালক সেনা

 নেতাজীর জাতীয়-বাহিনী কেবল মাত্র বয়ঃপ্রাপ্ত নরনারী লইয়া সংগঠিত হয় নাই। পরন্তু ৯বৎসর হইতে ১৪বৎসর পর্য্যন্ত বয়সের বালক বালিকাগণ এই স্বাধীন সংগ্রামে যোগ দিয়াছিল। অতি অল্পকাল মধ্যে সমগ্র পূর্ব্ব এশিয়ায় এইরূপ দল সংগঠিত হইল এবং দলে দলে বালক বালিকাগণ আসিয়া বালক বাহিনীতে যোগ দান করিতে লাগিল। মানব মনের উপর সুভাষচন্দ্র কিরূপ প্রভাব বিস্তার করিতে পারিতেন, তাহা তাঁহার ‘নারী-বাহিনী’ ও ‘বালক সেনা’ সংগঠন কার্য্য হইতে বেশ বুঝিতে পারা যায়। অনধিক তিন সপ্তাহের মধ্যে এই নবগঠিত বালক সেনা দলের যুদ্ধ সংক্রান্ত প্রাথমিক শিক্ষা শেষ হইল। কোন কোন দল সঙ্গীন চালনা করিতেও শিক্ষা করিল। বালক সেনাগণের সতেজ মূর্ত্তি, সামরিক অভিবাদন দেখিয়া এবং জয় হিন্দ উচ্চারণ শুনিয়া সকলেই বুঝিতে পারিল এই কিশোর কিশোরীগণ কিরূপ উৎসাহ লইয়া এই স্বাধীন সংগ্রামে অবতীর্ণ হইয়াছে।