পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র
১০৮

সুভাষচন্দ্র সিঙ্গাপুর হইতে রেডিও যোগে জানাইয়াছিলেন, ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্ট সম্মত হইলে তিনি আজাদ গভর্ণমেণ্টের প্রতিনিধিস্বরূপ দুর্ভিক্ষের প্রতিকার কল্পে এক লক্ষ টন চাউল এদেশে পাঠাইতে পারেন। ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্ট এ প্রস্তাব অনুমোদন করেন নাই।

আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপ

 ১৯৪৩ সালের ২৫শে অক্টোবর তারিখে মালয় প্রদেশে বক্তৃতা দিবার পরে ১লা নভেম্বর তারিখে সুভাষচন্দ্র বিমান যোগে টোকিও গমন করেন। তথায় উপস্থিত হইলে অস্থায়ী স্বাধীন ভারত গভর্ণমেণ্টের প্রধান অধিনায়করূপে জাপান গভর্ণমেণ্ট তাঁহাকে সাদরে ও সসম্মানে গ্রহণ করিলেন। পরে ওই নভেম্বরের এক সভায় জেনারেল টোজো সুভাষবাবুকে জানাইলেন জাপান গভর্ণমেণ্টের সিদ্ধান্ত অনুসারে নূতন অধিকৃত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপ অস্থায়ী আজাদ হিন্দ গভর্ণমেণ্টের হস্তে সমর্পণ করা হইল। স্বাধীন ভারতের অস্থায়ী গভর্ণমেণ্ট পরে এই দুইটি দ্বীপের নাম পরিবর্তন করিয়া ‘সহিদ’ ও স্বরাজ’ নাম দিয়াছিলেন।

 ১৯৪৩ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর নেতাজী স্বাধীন ভারতের প্রথম রাজ্য সহিদ দ্বীপে উপস্থিত হইয়া তথায় ত্রিবর্ণ রঞ্জিত