পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র

জন্য হইলেও সুভাষ চন্দ্র এই ভূখণ্ডের উপর আধিপত্য বিস্তার করিয়াছিলেন।

 দেশে একজন মহাপুরুষের জন্ম হইলে সে দেশ গৌরবান্বিত হয়। মহামতি শ্রীযুক্ত গোপালকৃষ্ণ গোখেল। আন্দোলনের সময়ে বড়লাটকে বলিয়াছিলেন—“আজ বাঙ্গালাদেশ যে বিষয় চিন্তা করে, কাল সমগ্র ভারতবর্ষ সে বিষয় চিন্তা করিবে।”[১] সুভাষচন্দ্রের জীবন-চরিত আলোচনা করিলে, এ বিষয়ের অনেক দৃষ্টান্ত পাওয়া যাইতে পারে। জাতীয় মহাসমিতির অধিবেশনে সুভাষচন্দ্রই প্রথম পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি উত্থাপন করিয়াছিলেন। পণ্ডিত জহরলাল নেহেরু ভিন্ন আর কেহই এ প্রস্তাব সমর্থন করেন নাই। কিছুদিন পরে মহাসমিতি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করিয়া সুভাষচন্দ্রের মতই সমীচীন বলিয়া স্বীকার করিয়াছেন। আবার ত্রিপুরী কংগ্রেসের সভাপতির আসন গ্রহণ করিয়া তিনি বৃটিশ গভর্ণমেণ্টকে ‘চরমপত্র’ দিবার প্রস্তাব করিয়াছিলেন। এই জন্য তাঁহাকে “Quit india” বা “ভারত ত্যাগ কর” প্রস্তাবের জনক বলা যাইতে পারে। প্রত্যেক যুগসন্ধিকালে নূতনকে গড়িয়া তুলিবার জন্য প্রচলিত ও পুরাতনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ঘোষণা করিবার প্রয়োজন হয়। এই সময়ে মহাপুরুষগণ কর্মক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইয়া সংগ্রাম পরিচালনার ভার গ্রহণ করেন। তাঁহারা পুরাতনের অপূর্ণতাকে


  1. What Bengal thinks today, the whole of India will think tomorrow