পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র
১২৪

অক্ষুণ্ণ থাকিবে এই আশায় আমি আমাদের জাতীয় ত্রিবর্ণ-রঞ্জিত পতাকা আপনাদের হস্তে সমর্পণ করিয়া যাইতেছি। আপনারা ভারতের মুক্তি সংগ্রামে অগ্রগামী সৈনিক, সুতরাং আপনারা ভারতের জাতীয় সম্মান রক্ষা করিবার জন্য আপনাদের প্রিয় বলিয়া যাহা কিছু এমন কি জীবন পর্য্যন্ত বিসর্জ্জন দিতেও কুণ্ঠিত হইবেন না। ইহাতে আপনাদের সঙ্গিগণ যখন অন্যত্র স্বাধীন সংগ্রামে লিপ্ত হইবেন, তখন তাঁহারা আপনাদের এই মহৎ দৃষ্টান্তে অনুপ্রাণিত হইবেন।

 আপনাদের ক্ষণিক পরাজয়ের দুঃখ ও গ্লানির অংশ গ্রহণ করিবার জন্য এই বিপদের সময়ে আমি রেঙ্গুন পরিত্যাগ করিবনা ইহাই স্থির করিয়াছিলাম, কিন্তু আমি নিজের মতে কাজ করিতে পারিলাম না। আমার মন্ত্রীগণের ও উর্দ্ধতন কর্ম্মচারিগণের পরামর্শে আমি ব্রহ্মদেশ ত্যাগ করিয়া যাইতেছি। আমি মনে করিয়াছি অন্যত্র গিয়া আমি এই সংগ্রাম পরিচালনা করিব। আপনাদের দুঃখ কষ্ট ও স্বার্থত্যাগ ব্যর্থ হইবেনা। আমি ১৯৪৩ সালের ২১শে অক্টোবর আমার জন্মভূমির ৩৮ কোটী লোকের সেবা করিবার জন্য যে অঙ্গীকারে আবদ্ধ হইয়াছি, আমরণ আমি তাহা পালন করিব এবং তাহাদের স্বাধীনতার জন্য চিরদিনই সংগ্রামে লিপ্ত থাকিব।

 উপসংহারে আমি আপনাদিগকে বলিতেছি যে আপনারা আমার ন্যায় বিশ্বাস করিবেন যে ঊষার আলোক পূর্ব্বগগন উদ্ভাসিত করিবার পূর্ব্বে সমগ্র জগৎ গভীরতম অন্ধকারে আবৃত