পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র
১৩৪

অসম্পূর্ণ আত্মজীবনীতে (unfinished autobiography) লিখিত আছে। তিনি যে কেবল রাজনীতিবিদ ছিলেন এমন নহে, তিনি বর্ত্তমান জগতের একজন শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রবিপ্লবী ছিলেন। গঠনমূলক কার্য্যে তাঁহার অদ্ভূত দক্ষতা ছিল। তিনি যে সাধারণ মানব অপেক্ষা অনেকাংশে শ্রেষ্ঠ ছিলেন, কোনও বিষয়ের প্রতিবাদকালে তাহা স্পষ্টই প্রতীয়মান হইত। তিনি নির্ভীক কর্ণধারের ন্যায় সমস্ত ঝড়ঝঞ্ঝা অগ্রাহ্য করিয়া গন্তব্য পথে অগ্রসর হইতেন। ভারতের স্বাধীনতা লাভের মহান্ আদর্শ তাঁহার সমগ্র জীবনে ওতঃপ্রোতভাবে বিদ্যমান ছিল। বস্তুতঃ যে আদর্শ লইয়া কংগ্রেস পূর্ণ স্বাধীনতার পথে অগ্রসর হইতেছে, চিন্তাশীল সুভাষচন্দ্র বসু ও পণ্ডিত জহরলাল নেহেরু তাহার রূপ দিয়াছেন।

 ১৯২৮।২৯ সালে সুভাষচন্দ্র বসু ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের সহিত কোনওরূপ আপোষ আলোচনা না করিয়া সংগ্রাম চালাইয়া যাইবার পক্ষপাতী ছিলেন। ১৯৩৯ সালে রোগশয্যায় শায়িত হইয়া তিনি ত্রিপুরী কংগ্রেসের সভাপতির আসন গ্রহণ করিয়াছিলেন। সেই সভাতেই তিনি ভবিষ্যৎ বাণী করিয়াছিলেন যে “বিশ্বযুদ্ধ আসন্ন।” ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্টকে চরমপত্র দিবার মত তিনি এই সভাতেই প্রকাশ করিয়াছিলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিবার নিমিত্ত দেশকে প্রস্তুত হইতেও উপদেশ দিয়াছিলেন। এই জন্যই তাঁহাকে “Quit India” বা “ভারত ত্যাগ কর” প্রস্তাবের জনক বলা যাইতে