পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র
১৩৬

হইলেও তাঁহার স্বদেশবাসিগণ বিশেষ আগ্রহের সহিত উহা শ্রবণ করিত।

 ১৯৪৩ সালের আগষ্ট মাসে সুভাষবাবু যখন রেঙ্গুনে আসেন, তখন ভারতীয় জাতীয় বাহিনীর সৈন্য সংখ্যা পঞ্চাশ হাজার হইতে দুই লক্ষ ছিল। নেতাজীর এই বিশ্বাস বদ্ধমূল ছিল যে, ভারত ও ব্রহ্মদেশের সংগঠনমূলক কার্য্য আর একটু অগ্রসর হইলে, সৈন্য সংখ্যা বহুল পরিমাণে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইতে পারে।

 সম্পাদক মহাশয় উপসংহারে বলিয়াছেন, মহাত্মা গান্ধীর সহিত অধিকাংশ বিষয়ে সুভাষবাবু একমত হইলেও তিনি তাঁহার অহিংসনীতিতে আস্থাবান ছিলেন না। তিনি বলিতেন ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্টের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করিলে সুফল এই হইবে যে তাঁহার সহযোগীগণের এমন কি ভারতের জন সাধারণের অন্তরে এক অভূতপূর্ব্ব উত্তেজনার সঞ্চার হইবে। ভারতের স্বাধীনতা লাভের পক্ষে ইহাই সর্ব্বাপেক্ষা প্রয়োজনীয়। তবে তাঁহার চেষ্টা ব্যর্থ হইলে হয়ত তাঁহার জীবনকেই আহুতি দিতে হইবে।

 নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মতিথি উপলক্ষে মনীষী আর. এস. রুইকর বলিয়াছেন—

 মহাত্মা গান্ধীর অসামান্য প্রভাবও ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদকে ধ্বংশ করিতে পারে নাই। সময়ে সময়ে তিনি সাফল্যের নিকটবর্ত্তী হইয়াছেন, কিন্তু মুহূর্ত্তমধ্যে ব্রিটিশশক্তি পুনরায় সবল হইয়া দাঁড়াইয়াছে। পূর্ণ স্বাধীনতা আজও মহাত্মার আদর্শই রহিয়া গিয়াছে। ১৯২০—৩০ সালে ইহা যেখানে ছিল, আজও