পাতা:বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র - মহেন্দ্রনাথ গুহ.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাঙ্গালীর প্রতিভা ও সুভাষচন্দ্র
১২

ভাষায় যে বক্তৃতা দিয়াছিলেন, তাহা শুনিয়া বিলাতের পণ্ডিতমণ্ডলী তাহাকে প্রাচীন রোমের বিখ্যাত বক্তা Cicero এবং প্রাচীন গ্রীসের সুপ্রসিদ্ধ বাগী Demosthenesএর সহিত তুলনা করিয়াছিলেন।

 তারপর যখন আমরা দেখি স্বামী বিবেকানন্দ শিকাগো ধর্ম্মসভায় গিয়া সভ্যজগতের সর্বশ্রেষ্ঠ মনস্বীগণকে উপনিষদগীতার বাণী শুনাইয়া আত্মপ্রতিষ্ঠা লাভ করিলেন এবং যখন দেখি তাহার প্রশংসাগানে আমেরিকার আকাশ বাতাস মুখরিত হইতে লাগিল, তখনই মনে করিলাম বাঙ্গালা দেশে জন্মগ্রহণ করিয়া আমরা ধন্য হইয়াছি।[১]

 বিজ্ঞান জগতে স্যার জগদীশচন্দ্র যে খ্যাতি অর্জন করিয়াছেন, বাঙ্গলার নয়—সমগ্র ভারতবর্ষের গৌরবস্থল হইয়াছে। বস্তুতঃ বিজ্ঞানের কেন্দ্রস্থল জার্ম্মাণি, ফ্রান্স, ইংলণ্ড, আমেরিকা প্রভৃতি দেশের শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিকগণের সমক্ষে বেদীগ্রহণ করিয়া নানা প্রচলিত মতবাদের ভ্রমপ্রদর্শন, এবং তাহাদের উত্থাপিত যুক্তি সকলের অসারতা প্রতিপাদন কেবল জগদীশচন্দ্রের গৌরবের কথা নহে, এই ব্যাপারে সমগ্র ভারত গৌরবান্বিত হইয়াছে। লিভারপুলে ব্রিটিশ এসোসিয়েশনের


  1. শিকাগো ধর্ম্মসভায় বক্তৃতা দিবার পরদিন তত্রত্য দৈনিক সংবাদ পত্রে লিখিত হইয়াছিল—Our President was wise enough to keep the best man for the last. After hearing him, we think, how foolish it is to send missionaries in those parts of India where a man like Vivekananda is born.